Saturday, August 6, 2011

রামাদান ম্যানুয়েল-৪: ফরজ রোজার নিয়ত


السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

রামাদান ম্যানুয়েল-: ফরজ রোজার নিয়ত


হাফসা বিনতে উমর রা.  থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন :

مَنْ لم يُجْمِعِ الصِّيامَ قَبلَ الفَجْرِ فَلا صِيامَ لَهগ্ধ رَوَاهُ أَبو داودَ (২৪৫৪) والترمذيُّ (৭৩০) والصوابُ وقفه.

যে ব্যক্তি ফজরের পূর্বে রোজার নিয়ত করল না, তার কোন রোজা নেই ।

ইমাম নাসায়ি অপর এক রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেন :

مَنْ لم يُبَيِّتْ الصِّيامَ قَبْلَ الفَجْرِ فَلا صِيامَ لَهُ رواه النسائي (৪/১৯৬)

যে ব্যক্তি ফজরের পূর্বে রাত থেকে রোজা আরম্ভ করল না, তার কোন রোজা নেই ।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন : সে ব্যক্তি রোজাদার নয় যে সুবহে সাদেকের  পূর্ব থেকে রোজা আরম্ভ করল না।

ইমাম তিরমিজি রহ. বলেন : ওলামায়ে কেরামের নিকট এ হাদিসের অর্থ হচ্ছে : রমজান মাসের রোজার সময় অথবা রমজানের কাজা রোজার সময় অথবা মান্নতের রোজার সময় যে ব্যক্তি সুবহে সাদেকের আগে, রাত বিদ্যমান থাকাবস্থায় রোজার নিয়ত করল না, তার রোজা বৈধ হবে না।  হ্যাঁ, নফল রোজার ক্ষেত্রে ভোর হওয়ার পরও নিয়ত করা বৈধ। ইমাম শাফি, আহমদ এবং ইসহাক এ অভিমত পেশ করেছেন।

হাদিস থেকে যা শিখলাম
১. রোজা একমাত্র আল্লাহর  এবাদতের উদ্দেশ্যে  পালন করতে হবে। যদি কোন ব্যক্তি স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডাক্তারের পরামর্শ, পানাহারের ইচ্ছা না থাকার দরুন বা অন্য কোন কারণে পানাহার থেকে বিরত থাকে, তার সে বিরত থাকাকে রোজা বলা হবে না এবং এ জন্য সে কোন সওয়াবও পাবে না।
২. নিয়ত হচ্ছে অন্তরের আমল। যে ব্যক্তির অন্তরে এ কথার উদ্রেক হল যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখব, তার নিয়ত যথাযথ।
৩. ওয়াজিব রোজা যেমন রমজান, মান্নত ও কাফ্ফারার রোজার ক্ষেত্রে পূর্ণ দিন রোজার নিয়তে থাকা জরুরি। এ জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে থাকা আবশ্যক। আর যে ব্যক্তি দিনের কোন অংশে রোজার নিয়ত করল, এবং তার নিয়তে পূর্ণ দিন অন্তর্ভুক্ত করল না , তার রোজাও হবে না। এ জন্য ওয়াজিব রোজার সময় সুবহে  সাদেক  উদিত হওয়ার আগেই নিয়ত করা জরুরি।
৪. রাতের যে কোন অংশে ফরজ বা নফল রোজার নিয়ত করা বৈধ। নিয়ত করার পর যদি রোজার পরিপন্থি কোন কারণ সংঘঠিত হয়, তবুও নিয়ত নষ্ট হবে না এবং নতুন করে নিয়ত করার প্রয়োজন হবে না।

be Organized by Holy Islam 
     O.H.I 
      For More Visit:

বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot.com/