Sunday, May 29, 2011

হিসাবের আমানত


  السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

হিসাবের আমানত


আল্লাহ বলেন,
নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তোমাদিগকে নির্দেশ দেন যেতোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ করতখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ্‌ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ শ্রবণকারীদর্শনকারী।  (আল-কুরআন;আন-নিসা-৫৮)
ِ
তোমরা ওয়াদা (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ করোনিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে.
(বনী ঈস্রাইল -৩৪)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা করো না তা কেন বলোতোমরা যা করো না তা বলা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত অসন্তোষজনক.
সুরা সফঃ২-৩

আমানতদারীর নমুনা:
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা) খিলাফতের প্রশাসনিক ক্ষমতার ন্যায় রাষ্ট্রের অর্থ-সম্পদকে এক বিরাট আমানতরুপে গণ্য করতেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন বলে প্রথম দিকে তিনি রাষ্ট্রীয় তহবিল হতে কোন বেতন-ভাতাই নিতেন না। কিন্তু পরবর্তী কালে খিলাফতের কাজে সার্বক্ষনিক ব্যস্ততার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে পড়ায় তিনি রাষ্ট্রীয় তহবিল হতে একজন সাধারণ নাগরিকের ন্যায় নামমাত্র ভাতা গ্রহণ করতে শুরু করেন। এতে তার পরিবারের ভরণ-পোষনের কাজ কোন প্রকারে চলে যেত।
এই পরিস্থিতিতে তার স্ত্রী এই বরাদ্দ থেকে কিছু খাদ্য জমিয়ে একদিন একটি মিষ্টি খাবার তৈরী করেন। খলিফা অবাক হয়ে স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তার স্ত্রী নিয়মিত বরাদ্দ হতে কিছু কিছু খাদ্য বাচাবার কথা খুলে বলেন। শুনে খলিফা মন্তব্য করেনঃ
যে পরিমাণ খাদ্য বাচিয়ে এ মিষ্টি তৈরী করা হয়েছেতা আমাদের না হলেও চলত। কাজেই ভবিষ্যতে বায়তুল মাল (সরকারী কোষাগার) হতে ঐ পরিমাণ খাদ্য কম আনা হবে।
রাষ্ট্রীয় তহবিলের আমানতদারীর ব্যাপারে তিনি কতখানি সতর্ক ছিলেনএই ঘটনা হতে তা প্রমাণিত হয়।
(খিলাফতে রাশেদাপৃষ্ঠা নং;৮২-৮৩,টীকা-২)লেনঃকোন প্রাণী জানে না যে,আগামীকাল সে কি উপার্জ়ন করবে,না কেউ জানে তার মৃত্যূ

আবু মুসা আল-আশয়ারী  (রা) বর্ণিত,

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে বিশ্বস্ত কোষাধ্যক্ষ তাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্টিচিত্তে কাজে পরিণত করেএমনকি (যা দান করতে বলা হয়েছে তা) দান করে এবং যাকে যা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে তাকে তা দেয় সেও দানকারীদ্বয়ের একজন (অপরজন স্বয়ং দাতা বা মালিক).

[সুনান আবু দাঊদ হাদীস নং ১৬৮৪]

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন,
চারটি গুণ যদি তোমাকে দান করা হয় তবে পার্থিব অন্য কিছু না পেলেও তোমার কোন ক্ষতি নেই।
1.    উত্তম স্বভাব-চরিত্র
2.    উত্তম ও পরিচ্ছন্ন রিযিক
3.    সত্য ভাষণ এবং
4.    আমানত সংরক্ষণ
 আল আদাবুল মুফরাদ হাদীস ২৮৮

 




be Organized by Holy Islam 

O.H.I For More Visit: