Tuesday, November 29, 2011

মুহররম ও আশুরার ফজিলত


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

মুহররম ও আশুরার ফজিলত

الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على نبينا محمد خاتم الأنبياء وسيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين وبعد:
মুহররম, একটি মহান বরকতময় মাস হিজরি সনের প্রথম মাস । এটি আশহুরে হুরুম তথা হারামকৃত মাস চতুষ্টয়ের অন্যতম। আশহুরে হুরুম সম্বদ্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ ﴿36﴾[التوبة:36].

নিশ্চয় মাসসমূহের গণনা আল্লাহর কাছে বার মাস আল্লাহর কিতাবে, (সেদিন থেকে) যেদিন তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্য থেকে চারটি সম্মানিতএটাই প্রতিষ্ঠিত দীন। সুতরাং তোমরা এ মাসসমূহে নিজদের উপর কোন জুলুম করো না।{সূরা তাওবা:৩৬}

সাহাবি আবু বাকরাহ রা. নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, নবীজী বলেন, 

{السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ: ثَلاثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ } [رواه البخاري 2958]

বছর হলো বারোটি মাসের সমষ্টি, তার মধ্যে চারটি অতি সম্মানিত। তিনটি পর পর লাগোয়া জিলকদ, জিলহজ ও মুহররম আর (চতুর্থটি হলো) জুমাদাস সানি ও শাবানের মধ্যবর্তী রজব। {বোখারি:২৯৫৮}

মুহররমকে মুহররম বলে অভিহিত করা হয়েছে কারণ এটি অতি সম্মানিত।

আল্লাহর বাণী ﴿فَلا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ {তোমরা এতে নিজেদের উপর কোনো জুলুম করো না।} অর্থাৎ, এই সম্মানিত মাস সমূহে তোমরা কোনো অন্যায় করো না। কারণ এ সময়ে সংঘটিত অন্যায় ও অপরাধের পাপ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি ও মারাত্মক।

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা   ﴿فَلا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ{তোমরা এতে নিজেদের উপর কোনো জুলুম করো না।}’’ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, এই বারো মাসের কোনোটিতেই তোমরা অন্যায় অপরাধে জড়িত হয়ো না। অত:পর তাহতে চারটি মাসকে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করেছেন। তাদেরকে মহা সম্মানে সম্মানিত করেছেন। এসবের মাঝে সংঘটিত অপরাধকে অতি মারাত্মক অপরাধ বলে গণ্য করেছেন। আর তাতে সম্পাদিত নেক আমলকে বেশি সাওয়াব যোগ্য নেক আমল বলে সাব্যস্ত করেছেন।

কাতাদাহ রা.   ﴿فَلا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ{তোমরা এতে নিজেদের উপর কোনো জুলুম করো না।}’’  আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, যদিও জুলম সব সময়ের জন্য বড় অন্যায় তবে হারাম মাস চতুষ্টয়ে সম্পাদিত জুলুম অন্যান্য সময়ে সম্পাদিত জুলুম হতে অপরাধ ও পাপের দিক থেকে আরও বেশি মারাত্মক অন্যায়। আল্লাহ তাআলা নিজ ইচ্ছা মাফিক যাকে ইচ্ছা বড় করতে পারেন।

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ নিজ সৃষ্টি হতে খাঁটি ও উৎকৃষ্টগুলোকে বাছাই করেছেন; ফেরেশতাকুল হতে কতককে রাসূল হিসাবে বাছাই করেছেন অনুরূপ মানুষ থেকেও। কথা হতে বাছাই করেছেন তাঁর জিকিরকে। আর জমিন হতে বাছাই করেছেন মসজিদ সমূহকে। মাসসমূহ থেকে বাছাই করেছেন রমজান ও সম্মানিত মাস চতুষ্টয়কে। দিনসমূহ হতে বাছাই করেছেন জুমুআর দিনকে আর রাত্রসমূহ থেকে লাইলাতুল কদরকে। সুতরাং আল্লাহ যাদের সম্মানিত করেছেন তোমরা তাদের সম্মান প্রদর্শন কর। আর বুদ্ধিমান লোকদের মতে, প্রতিটি বস্তুকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয় মূলত: সেসব জিনিসের মাধ্যমেই যেসব দ্বারা আল্লাহ তাদেরকে সম্মানিত করেছেন। {সার সংক্ষেপ, তাফসির ইবন কাসির, সূরা তাওবা, আয়াত ৩৬}

মুহররম মাসে অধিক পরিমাণে নফল রোজার ফজিলত

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
{ أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ } অর্থাৎ, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহররম (মাসের রোজা)। { সহিহ মুসলিম,১৯৮২}
شَهْرُ اللَّهِ বাক্যে شَهْر কে اللَّهِ -এর দিকে যে  إضافة  করা হয়েছে এটি  إضافة تعظيم। অর্থাৎ, সম্মানের ইযাফত। আল্লামা ক্বারী রহ. বলেন, হাদিসের বাহ্যিক শব্দমালা থেকে পূর্ণ মাসের রোজা বুঝে আসে। তবে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান ব্যতীত আর কোনো মাসে পূর্ণ মাস রোজা রাখেননি, এটি প্রমাণিত। তাই হাদিসকে এ মাসে বেশি পরিমাণে রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হয়েছে বলে ধরা হবে।

শাবান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক রোজা রেখেছেন বলে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। হতে পারে মুহররম মাসের ফজিলত সম্বন্ধে তাঁকে একেবারে জীবনের শেষ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে আর তিনি তা বাস্তবায়ন করে যাবার সময় পাননি। {ইমাম নববি, শারহু সহিহ মুসলিম}

আল্লাহ তাআলা স্থান ও কাল যাকে ইচ্ছা মর্যাদা দিয়ে থাকেন

আল্লামা ইজ্জ বিন আব্দুস সালাম রহ. বলেন, স্থান ও কালের একের উপর অপরের মর্যাদা দান দুই প্রকার। এক. পার্থিব। দুই. দ্বীনী, যা আল্লাহর দয়া ও করুণার উপর নির্ভরশীল। তিনি সেসব স্থান বা কালে ইবাদত সম্পন্নকারীদের সাওয়াব বৃদ্ধি করে দিয়ে তাদের উপর করুণা করেন। যেমন, অন্যান্য মাসের রোজার তুলনায় রমজানের রোজার মর্যাদা অনুরূপ আশুরার দিন..। এগুলোর মর্যাদা আল্লাহর দান ও ইহসানের উপর নির্ভরশীল। {কাওয়ায়েদুল আহকাম:১/৩৮}



be Organized by Holy Islam 
O.H.I 
For More Visit:





Wednesday, November 23, 2011

হজের পর করণীয় কী?


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

হজের পর করণীয় কী?

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য, যিনি তার বান্দাদের সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন এবং দরূদ ও সালাম নবী মুহাম্মদের ওপর, যিনি হাউযে কাউসার ও মহান মর্যাদার অধিপতি এবং তার পরিবার ও সাথীদের ওপর, আর সিরাতে মুস্তাকিমের ওপর তাদের অনুসরণকারী প্রত্যেকের ওপর।

সম্মানিত হাজি সাহেব,
যখন আপনারা বাড়ি ফিরার ইচ্ছা করেন আপনাদের মনে পড়ে পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও বন্ধু-বান্ধবদের কথা। তাদের জন্য বিভিন্ন উপহার সংগ্রহ করেন। যার সামর্থ্য রয়েছে, ব্যবসার জন্য অতিরিক্ত জিনিস পত্র খরিদ করেন। এতে কোন সমস্যা নেই, কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَبۡتَغُواْ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكُمۡۚ فَإِذَآ أَفَضۡتُم مِّنۡ عَرَفَٰتٖ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ عِندَ ٱلۡمَشۡعَرِ ٱلۡحَرَامِۖ وَٱذۡكُرُوهُ كَمَا هَدَىٰكُمۡ وَإِن كُنتُم مِّن قَبۡلِهِۦ لَمِنَ ٱلضَّآلِّينَ ١٩٨ ﴾ [البقرة: ١٩٨] 
“তোমাদের উপর কোন পাপ নেই যেতোমরা ‎‎তোমাদের রবের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে। সুতরাং যখন তোমরা আরাফা থেকে বের হয়ে আসবেতখন মাশআরে হারামের নিকট আল্লাহকে স্মরণ কর এবং তাকে স্মরণ কর যেভাবে তিনি ‎‎তোমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও ‎‎তোমরা এর পূর্বে অবশ্যই পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে” [সূরা বাকারা: (১৯৮)]
ইমাম কুরতুবি রহবলেন“এ আয়াত প্রমাণ করে যে, হাজি সাহেব হজ পালন করার সাথে ব্যবসাও করতে পারবেন, এ নিয়ত শিরক হিসেবে গণ্য হবে না এবং এ জন্য তার ফরয ইখলাস ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ইমাম দারাকুতনি তার সুনান গ্রন্থে আবু উমামাহ তাইমি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: আমি ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করেছি: “আমি হজের সফরে ভাড়ার কাজ করি (যেমন উট ইত্যাদি ভাড়া দেই), কতক লোক বলে: তোমার হজ নেই। ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল, যেরূপ তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ, তিনি চুপ থাকলেন, অতঃপর নাযিল হল:
﴿ لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَبۡتَغُواْ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكُمۡۚ ١٩٨ ﴾ [البقرة: ١٩٨] 
“তোমাদের উপর কোন পাপ নেই যেতোমরা ‎‎তোমাদের রবের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে...” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “নিশ্চয় তোমার হজ রয়েছে”। অর্থাৎ তোমার হজ বিশুদ্ধ।

প্রিয় হাজি সাহেব,
প্রয়োজন অনুযায়ী দুনিয়া গ্রহণ করলে ইখলাস ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তবে হাজি সাহেব, আপনি যখন ঐ পবিত্র নিদর্শনগুলো বিদায় জানিয়ে প্রস্থান করছিলেন তখন আপনার অনুভূতি কেমন হয়েছিল? হাজি সাহেব, আপনি অবশ্যই জানেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষদের নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন তওয়াফে বিদা (বিদায়ী তওয়াফ) ব্যতীত মক্কা প্রস্থান না করে। ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “লোকেরা (হজ শেষে) নিজ নিজ রাস্তা গ্রহণ করত, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
 لا ينفرن أحد حتى يكون آخر عهده بالبيت.
“কেউ প্রস্থান করবে না, যতক্ষণ না তার শেষ কর্ম হয় তওয়াফে বিদা”। [মুসলিম]

প্রিয় হাজি ভাই,
এরূপ নির্দেশ প্রদান করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথীদেরকে যখন তারা পবিত্র কাবা প্রস্থান করার ইচ্ছা করেছিল; যাতে তারা মক্কা থেকে চলে আসার সময়ে সর্বশেষ কর্ম হিসেবে তওয়াফ বিদা সম্পন্ন করার মাধ্যমে সে ঘরের বড়ত্ব ও মর্যাদা দ্বারা তাদের দৃষ্টি ও অন্তর পূর্ণ হয়। আল্লাহ তার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করুন।

আর আপনি প্রিয় হাজি ভাই,
যখন বাড়ি ফিরার প্রস্তুতি নিয়ে পবিত্র কাবা ঘর বিদায় জানাচ্ছিলেন তখন আপনার অনুভূতি কেমন হয়েছিল? ভাই, কোন সন্দেহ নেই ঐ পবিত্র ঘর বিদায় জানানো সত্যিই কঠিন, বিশেষ করে যে অন্তর হজের পুরো সময়ে একমাত্র তার রবের ধ্যানে নিবিষ্ট ছিল, তার কাছে বিদায় ঘণ্টা সত্যিই বেদনাদায়ক!

প্রিয় হাজি ভাই,
স্মরণ করুন, এখন আপনি পবিত্র কাবা ঘরকে শেষ বারের মত সম্মান করছেন, অথচ ইতোপূর্বে আপনি অবস্থান করছিলেন ইবাদতের দিনগুলোয় ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পুণ্য মৌসুমে। সত্যি হজের সারাক্ষণ ও প্রতি মুহূর্ত খুব ভাগ্যবান! কিন্তু প্রিয় ভাই, একটি জিজ্ঞাসা: আপনি যখন বাড়ি ফিরবেন ইবাদতের ধারাবাহিকতা কি বন্ধ হয়ে যাবে? অথচ আপনি স্মরণ করবেন মহান ও পবিত্র ঘর কাবার নিকট আল্লাহর সান্নিধ্যে আপনার উপস্থিতির কথা, আপনি স্মরণ করবেন আরাফার দিন ও তার বড়ত্বের কথা এবং মিনার দিনগুলো ও তার সম্মানের কথা!

প্রিয় ভাই,
এরপর কীভাবে আপনি আপনার পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবেন! বরং ইবাদতে আত্মনিয়োগ করুন; জীবনের জন্য নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করুন; যেন মাবরুর হজকারীদের গুণাগুণ আপনি অর্জন করতে সক্ষম হন। হাসান বসরি রহ. বলেছেন: “হজ্জে-মাবরুর হচ্ছে ব্যক্তির (হাজির) দুনিয়াত্যাগী ও আখিরাতমুখী হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করা”
কেউ বলেছেন: হজ্জে মাবরুর এর নিদর্শন: “হজ শেষে এর আলামত স্পষ্ট হয়, যদি আগের চেয়ে ভালো অবস্থা নিয়ে বাড়ি ফিরে, বুঝা যাবে তার হজ মাবরুর”।
আরেকটি বিষয় প্রিয় হাজি ভাই: আপনি যখন পবিত্র কাবা ঘর বিদায় জানাচ্ছেন, দোয়া করুন এটাই আপনার শেষ সাক্ষাত না হয়। কেননা, ইবাদতের পর ইবাদতে মগ্ন থাকা যেমন দ্বীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার আলামত, অনুরূপ পাপের পর পাপে লিপ্ত থাকা গোমরাহি ও পথভ্রষ্টতার নিদর্শন।

ভাই,
ইবাদতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন, মনে রাখবেন কিয়ামতের দিন আপনার সফলতার চাবিকাঠি এটাই। দেখুন আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল:
أي العمل أحب إلى الله؟  قالأدومه وإن قلّ.
“কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন: “ধারাবাহিক আমল, যদিও তা কম হয়”। [মুসলিম]

প্রিয় হাজি ভাই,
নেককার হওয়ার আলামত হচ্ছে নিয়মিত ইবাদত করা যদিও তার পরিমাণ হয় সামান্য। তাই প্রিয় ভাই, এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আপনাকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: আপনি নেক আমলকে আঁকড়ে ধরুন, তা থেকে কখনো বিচ্যুত হবেন না। যত ছোট হোক কোন আমলকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেন না, আল্লাহ আপনাকে খাতেমা বিল খায়ের তথা শুভ সমাপ্তি দান করবেন এবং আপনার হজের বরকত আপনার জন্য অক্ষত রাখবেন, ইনশাআল্লাহ

হাজি ভাই,
আপনি কখনো তাদের মতো হবেন না, যারা নির্দিষ্ট মৌসুম ব্যতীত ইবাদতের কথা মনে করে না; এসব মৌসুম শেষ হলে তারা তাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। আলকামা রহ. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করেন: “হে উম্মুল মুমেনিন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল কেমন ছিল? তিনি কি ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট কোন দিন নির্বাচন করতেন? তিনি বললেন: না, তার আমল ছিল নিয়মিত তোমাদের কার সে রকম সামর্থ্য রয়েছে, যেরূপ সামর্থ্য ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের?!”। [বুখারি]
মুহাম্মদ ইব্‌ন কাসেম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন, যখন তিনি কোন আমল করতেন, তাতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেন।

প্রিয় হাজি ভাই,
ধৈর্যসহ ইবাদতে অবিচল থাকা জরুরী। আপনি আপনার হজ পরবর্তী জীবন নতুনভাবে আরম্ভ করুন। পাপ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরুন। আল্লাহর আনুগত্য ও পাপ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা নিঃসন্দেহে মুমিনের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার আলামত। মায়মুন ইব্‌ন মেহরান রহ. বলেছেন: “সবর দু’প্রকার: মুসিবতে ধৈর্য ধারণ করা ভাল, কিন্তু তার চেয়ে অধিক ভাল পাপ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা”।

সম্মানিত হাজি ভাই,
আপনি কখনো তাদের মতো হবেন না, যাদের সম্পর্কে ইমাম ইব্‌নুল কাইয়ূম রহ. বলেছেন: “পাপিষ্ঠ ও হতভাগারা তাদের প্রবৃত্তি ও নফসের অনুসরণে অধিক ধৈর্যশীল, কিন্তু তাদের রবের আনুগত্যে তারা সবচেয়ে অধৈর্য। তারা শয়তানের আনুগত্যের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ধৈর্যের পরীক্ষা দেয়, কিন্তু আল্লাহর আনুগত্যে ন্যূনতম ধৈর্য প্রদর্শন করে না। তারা স্বীয় শত্রুকে খুশি করার জন্য প্রবৃত্তির অনুসরণে কঠোর পরিশ্রম করে, কিন্তু তাদের রবের সন্তুষ্টির জন্য সামান্য কষ্ট স্বীকার করে না। তারা শয়তানের আনুগত্য ও নফসের হুকুম তামিলে ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে, কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ পালন ও রাসূলের অনুসরণে তারা পুরোপুরি অক্ষমতা প্রদর্শন করে। এরাই কপালপোড়া ও হতভাগা। তারা কখনো আল্লাহর নিকট সম্মান পাবে না কখনো তারা সেসব নেককার লোকদের কাতারে দাঁড়াতে পারবে না, যাদেরকে আল্লাহ কিয়ামতের জনসমুদ্রে আহ্বান করবেন: “কোথায় মুত্তাকীগণ” বলে, যেন উপস্থিত সবাই তাদের মর্যাদা প্রত্যক্ষ করে, তাদের শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষী দেয়
অনুবাদ: সানাউল্লাহ নজির আহমদ


be Organized by Holy Islam 
O.H.I 
For More Visit:





Saturday, November 19, 2011

শিশুর অধিকার -২


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

শিশুর অধিকার -২

৩। বৈধভাবে জন্মগ্রহণ করার অধিকার
জন্মগত বৈধতা ইসলামের পরিবার গঠনের ভিত্তি এবং শিশুর ন্যায্য অধিকার। অবৈধ সন্তান না হবার জন্য নানারূপ সাবধনতা অবলম্বন করতে হবেএ ক্ষেত্রে  অবৈধ যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা অবৈধ যৌনমিলনের ফলে মাবনদেহে নানারকম রোগ-ব্যাধির সৃষ্টি হয়। উপরন্ত এতে অবৈধ সন্তান জন্মের আশংকা  থাকে। এতে কোন সন্দেহ নেই যেঅবৈধ  সন্তান মানবিক অধিকার হতে অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয় এবং তার জীবন ধারণ ও লালন পালনের সুযোগ-সুবিধা সহজলভ্য হয় না। যদিও পিতা-মাতার অপরাধ সন্তানের উপর বর্তায় না তবুও সমাজ অবৈধ সন্তানকে পূর্ণ সামাজিক মর্যাদা দিতে সম্মত নয়।[1] এটা যথেষ্ট নয় যে কোন শিশু তার পিতার নামে পরিচিত। এটা সত্যা হলেও চলবে নাবরং সকল সত্যের উর্ধ্বে  এটা সত্য হতে হবে। শিশুকে যেন এ বিষয়ে লজ্জিত হতে না হয়। জাহেলিয়া বা অজ্ঞতার যুগে সন্দেহজনক পিতৃত্ব নিয়েও কোন কোন হতভাগ্য শিশুকে চলতে হতো। একাধিক ব্যক্তি একটি শিশুর পিতা বলে দাবী করত এবং দাবীর সমর্থনে যুক্তিও পেশ করত।  বিষয়টি রাসুল (সা.) কে অত্যন্ত ব্যাথিত করে। তিনি ঘোষণা করেন ‘‘যে পিতার শয্যায় (বা সংসারে) সন্তান জন্ম গ্রহণ করেশিশু সেই শয্যারই।’’[2] ইসলামের বিধান হলো যে পরিবারে সন্তান জন্ম গ্রহণ করেসন্তান সেই পরিবারের যদি না বিষয়টি চ্যালঞ্জ হয়।
এরূপ একটি সীদ্ধান্ত প্রচলিত আছে যেবিয়ের ৬ মাসের মধ্যে যে শিশু জন্ম গ্রহণ করে তার জন্মের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা বৈধ নয়। যদি কোন পিতা তার স্ত্রীর আনুগত্যহীনতার কারণে সন্তানকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিতে না চায়তাহলে তাকে  অবশ্যই অবিশ্বাস করা যায় না,তাকে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে। যদি সে সাক্ষী উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়তবে তাকে লিয়ান[3] পদ্ধতি অবলম্বন করতে  হলেও শিশুর পিতার পরিচয় সন্দেহমুক্ত করতে হবে। লিয়ান এর পদ্ধতি সম্পর্কে  আল-কুরআনে এরশাদ হয়েছে:
﴿وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ثُمَّ لَمۡ يَأۡتُواْ بِأَرۡبَعَةِ شُهَدَآءَ فَٱجۡلِدُوهُمۡ ثَمَٰنِينَ جَلۡدَةٗ وَلَا تَقۡبَلُواْ لَهُمۡ شَهَٰدَةً أَبَدٗاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٤ إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُواْ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ وَأَصۡلَحُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥ وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ أَزۡوَٰجَهُمۡ وَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ شُهَدَآءُ إِلَّآ أَنفُسُهُمۡ فَشَهَٰدَةُ أَحَدِهِمۡ أَرۡبَعُ شَهَٰدَٰتِۢ بِٱللَّهِ إِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ﴾ [النور: 6- 9]
‘‘যারা নিজেদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে যেনার অভিযোগ উত্থাপন করেঅথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের (প্রয়োজনীয় সংখ্যক) সাক্ষী নাইতাদের  প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যেসে (স্বামী) আল্লাহর  নামে চারবার শপথ করে বলবে যেসে অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চম বারে বলবেসে মিথ্যাবাদী হলে তার নিজের উপর আল্লাহর অভিশাপ পড়বে। তবে স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে (স্ত্রী) আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে সাক্ষ্য দেয় যেতার স্বামী মিথ্যাবাদীএবং পঞ্চম বারে বলবেতার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর আল্লাহর অভিশাপ পড়বে।’’[4]
৪। সুন্দর নাম পাবার অধিকার
নাম একটি জাতির স্বকীয়তা ও পরিচয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক মাধ্যম। এ প্রসঙ্গে উইলিয়াম হাজলিটের (William Hajlitt)  সাবলীল বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন:
A mane fast anchored in the deep abyss of time is like a star twinkling in the firmament cold, distant, silent, but eternal and sublime.”[5]
নাম কালের অতল তলে আবদ্ধ নোঙরযেন দূর নীলিমায় মিটিমিটি তারকাশান্তসুদূর সমাহিতকিন্তু শাশ্বত সুউন্নত। একটি সুন্দর বা উত্তম নাম পাওয়া প্রতিটি সন্তানের পিতা-মাতা তার হক বা অধিকার হিসেবে শরিয়ত স্বীকৃতি দেয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)এ প্রসঙ্গে এক হাদীস উল্লেখ করেন:
রাসূল (সা) বলেছেনপিতা-মাতার প্রতি সন্তানের হক হচ্ছে প্রথমত: তিনটি
1.         জন্মের পরে তার জন্য একটি উত্তম নাম রাখতে হবে।
2.        জ্ঞান বুদ্ধি হলে তাকে উত্ত শিক্ষা দিতে হবে।
3.        পূর্ণবয়স্ক হলে তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।[6]
ইবন আববাস (রা) থেকে বর্ণিত অপর এক হাদীসে তিনি বলেনতারা বললোইয়া রাসুলুল্লাহ! আমরা অবগত হয়েছি যেপিতার হক কিকিন্তু সন্তানের হক কিতিনি বললেনপিতা (সন্তানকে) সুন্দর নাম ও সুশিক্ষা প্রদান করবে।[7]
ইবন আববাস ও আবু সাঈদ (রা.) অন্যত্র বর্ণনা করেন-রাসূল (সা.) এরশাদ করেনযার সন্তান জন্মগ্রহণ করে সে যেন সুন্দর নাম ও সুশিক্ষা দেয় এবং সাবালক হলে তার বিয়ে দেয়।[8]
ইসলামে নামের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাওআলা প্রথম মানব হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে সর্বপ্রথম তাকে নামই শিক্ষা দিয়েছিলেন। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে:
﴿وَعَلَّمَ ءَادَمَ ٱلۡأَسۡمَآءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمۡ عَلَى ٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ فَقَالَ أَنۢبِ‍ُٔونِي بِأَسۡمَآءِ هَٰٓؤُلَآءِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٣١﴾ [البقرة: 31]
‘‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেনতৎপর সে সমুদয় ফিরিশতাদের সম্মুখে প্রকাশ করলেন এবং বললেন, ‘এ সমুদয়ের নাম আমাকে বলে দাও।[9] পরবর্তী আয়াতে দেখা যায় এরপর ফেরেস্তাদের কাছে এ সকল জিনিসের নাম জানতে চাইলে তারা অজ্ঞতা প্রকাশ করে। তখন আদম (আ.)কে জিজ্ঞাস করলে তিনি তা বলে দেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাওআলা আদম (আ.) কে ফেরেস্তাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেন।[10] নামের গুরুত্ব বুঝা যায়  যখন সকল কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম উচ্চারণের নির্দেশ আসে। এর মধ্যে কিছু কাজ আছে যা আল্লাহর নামে শুরু করা ফরজ। যেমনসালাততায়াম্মুম ও পশু যবেহ ইত্যাদি। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের নির্দেশ এসেছে এভাবে:
‘‘আপনি আপনার প্রতিপালকের নাম স্বরণ করুণ এবং একনিষ্ঠভাবে তাতে মগ্ন থাকুন।[11] তাফসীরকারদের মতে এ আয়াতে তাকবীরে তাহরীমার কথা বলা হয়েছেযার আগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা ফরজ। শুধু কি কাজের আগেই বরং পবিত্র কুরআনে নাযিলকৃত প্রথম আয়াতের নির্দেশও ছিল মহান আল্লাহ্ তাআলার নামে পাঠ করার। যেমন এরশাদ হয়েছে:
﴿ ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ [العلق:8]
‘‘পাঠ করুন আপনার প্রতিপালকের নামে।[12] এতে বুঝা গেল যেকিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ শুরুর আগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ ফরজ। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে আল্লাহর নাম উচ্চারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। হাদীস শরীফের সূত্রে আহকামুল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে- খাবার সময় বান্দাহ যদি আল্লাহর  নাম উচ্চরণ করেতাহলে শয়তান তার সাথে খেতে বসতে পারে না। আর নাম উচচারণ না করলে অবশ্যই তার খাবারে শয়তান শরীক হবে। মুশরিকরা তাদের কাজ-কর্ম শুরু করে তাদের দেব-দেবী মূর্তির নামেযাদের তারা পূজা করেওদের বিরোধিতা করা হবে যদি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে কাজ শুরু করা হয়।[13]
সুতরাং নাম কোন ক্ষুদ্র বিষয় নয়যে রাখতে হয় তাই রাখা। বরং এর মাধ্যমে পরিচয়ের এক শাশ্বত ধারার সূচনা ঘটে। ফলে বিশ্ব মণীষীরাও নামের গুরুত্ব না দিয়ে পারে নি। কিন্তু তা অর্থবোধকশ্রুতিমধুর বা অন্য  কোন আঙ্গিকে বিবেচনার সুযোগ রয়েছেএ বিষয়ে মতান্তরের অবকাশ লক্ষ করা যায়। সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে মুসলমানদের গাফলতির সুযোগ নেই। তাই শিশুকে সার্বিক দিক থেকে সুন্দর নাম দিতে হবে। যে ধরনের নাম নিয়ে অন্যরা হাসাহাসি করেসে ধরনের নামে শিশুকে ডাকা যাবে না। এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন: ‘‘তোমরা সুন্দর নাম রাখ।’’[14]
ড. হুসাইন আহমাদ
চলবে...


[1] . আফীক আব্দুল ফাত্তাহ তাববারাঅনু. ইসলামী দৃষ্টিতে অপরোধ, (ঢাকা: ইফাবাপৃ. ১৯৮৬)পৃ. ১০৯।
[2] . আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইসমাইল আল-বুখারীসহীহ বুখারী(দিল্লী: কুতুবখানা রশীদিয়াহতা.বি)পৃ. ৭৮৭।
[3] . লিয়ান’ স্বামী যদি স্ত্রীর বিরুদ্ধে যিনার অভিযোগ উত্থাপন করে এবং উহার অনুকুলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক( ৪ জন) সাক্ষী না থাকেঅথবা সে যদি স্ত্রী গর্ভস্থ সন্তানকে তার ঔরসজাত নয় বলে দাবী করেতবে এ অবস্থায় তাদের উভয়কে বিশেষ পন্থায় আদালতের সামনে যে শপথ করতে হয় তাকে লিয়ান’ বলে। (ইসলামী আইন বিধিবদ্ধকরণ বোর্ডবিধিবদ্ধ ইসলামী আইন, (ঢাকা: ইফাবাখৃ. ১৯৯৫)পৃ. ৬৭৬।
[4] . আল-কুরআন২৪:৬-৯।
[5] . Willian Hajlitt. Ibid
[6] . ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী প্রকাশিত গণশিক্ষা শীর্ষক পুস্তকপৃ. ১০৩।
[7] . বাযহাকীএ হাদীসটিকে কেউ কেউ দুর্বল বর্ণনা মনে করলেও বক্তব্যের দিক থেকে এ সংক্রান্ত মৌলিক বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধায় গ্রহণীয় হতে পারে।
[8] . প্রাগুক্ত।
[9] . আল-কুরআন২:৩১
[10] . আল-কুরআন২:৩৩।
[11] . আল-কুরআন৭৩:৮।
[12] . প্রাগুক্ত৯২:১।
[13] . আল্লামা আবু বকর আহমাদ আল-জাস্সাস(র.) আহকামুল কুরআন, খ. ১অনুবাদ মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, (ঢাকা: ইফাবাখৃ. ১৯৮৮)পৃ. ২৩।
[14] . আবু দাউদ সুলাইমান ইবন আশআস সিজিস্তানীসুনানু আবি দাউদ,দিল্লী: কুতুবখানা রশিদিয়াহতা.বি)পৃ. ৫২। 

be Organized by Holy Islam 
O.H.I 
For More Visit: