Sunday, July 31, 2011

আসুন মাহে রমযানকে স্বাগত জানাই


السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


আসুন মাহে রমযানকে স্বাগত জানাই

আসুন মাহে রমযানকে স্বাগত জানাই
বাড়িতে বিশেষ কোন মেহমান আসার তারিখ থাকলে আমরা পূর্ব থেকেই নানা প্রস্তুতি নেই। ঘরদোর পরিষ্কার করি। বিছানাপত্র সাফ-সুতরো করি। পরিপাটি করি বাড়ির পরিবেশ। নিশ্চিৎ করি মেহমানের যথাযথ সম্মান ও সন্তুষ্টি রক্ষার সার্বিক ব্যবস্থা। তারপর অপেক্ষা করতে থাকি মেহমানকে সসম্মানে বরণ করে নেয়ার জন্য। আমাদের দুয়ারেও আজ কড়া নাড়ছে এক বিশেষ অতিথি। এমন অতিথি যার আগমনে সাড়া পড়ে যায় যমীনে ও আসমানে! আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায় সমগ্র সৃষ্টি জগতে! আল্লাহর হাবীবের মুখেই শুনুন সে কথা-

إذا كَانَ أَوَّلُ ليْلَةٍ من شَهرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّياطِينُ ومَرَدَةُ الجِنِّ، وغُلِّقَتْ أبوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ منْهَا بَابٌ، وفُتِحَتْ أَبوَابُ الجَنَّةِ فلمْ يُغْلَقْ منْها بَابٌ، ويُنَادِي مُنَادٍ: يا بَاغِيَ الخَيرِ: أَقْبِلْ، ويا بَاغِيَ الشَّر: أَقْصِرْ، ولله عُتَقَاءُ مِنَ النَّار وذَلكَ كُلَّ لَيْلَةٍগ্ধ. هذه الرواية للترمذي (৬৮২) وابن ماجه (১৬৪২) وصححها ابن خزيمة (১৮৮৩) وابن حبان (৩৪৩৫) والحاكم وقَالَ: على شرط الشيخين (১/৫৮২) وصححه الألباني في صحيح الترمذي.

যখন রমযানের প্রথম রাত্রি আগমন করে শয়তান এবং অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলিত করা হয়জাহান্নামের সকল দরোজা বন্ধ করে দেয়া হয়খোলা রাখা হয় না কোন দ্বারজান্নাতের দুয়ারগুলো অর্গলমুক্ত করে দেয়া হয়বদ্ধ রাখা হয় না কোন তোরণ। এদিকে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন- হে পুণ্যের অনুগামীঅগ্রসর হও। হে মন্দ-পথযাত্রী থেমে যাও। আবার অনেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর এমনটি করা হয় রমযানের প্রতি রাতেই

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাই রমযান আসার পূর্ব থেকেই রমযানের জন্য প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে অধিকহারে নফল রোজা পালনের মাধ্যমে তিনি রমযানে সিয়াম সাধনার পূর্বানুশীলন করতেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে রমযানের শুভাগমনের সুসংবাদ দিতেন। তাঁদেরকে শোনাতেন রমযানের ফযীলতের কথা। যেন তারা রমযানে ইবাদত-বন্দেগীতে বেশি করে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। নেকী অর্জনে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে প্রত্যয়ী হন। ইমাম আহমদ র. আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনা করেনতিনি বলেছেন,

كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يبشرأصحابه :" قد جاءكم شهرمبارك, شهررمضان, افترض عليكم
صيامه, يفتح فيه أبواب الجنة, ويغلق فيه أبواب الجحيم, وتغل فيه الشياطين, فيه ليلة خير من ألف شهر, من حرم خيرها فقد حرم. هذه الرواية للنسائي (৪/১২৯) وأحمد (২/২৩০) وعبد بن حميد (১৪২৯).

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সঙ্গী-সাথীদের এ মর্মে সুসংবাদ শোনাতেন- তোমাদের সমীপে রমযান মাস এসেছে। এটি এক মোবারক মাস। আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর এ মাসের রোযা ফরজ করেছেন। এতে জান্নাতের দ্বার খোলা হয়। বন্ধ রাখা হয় জাহান্নামের দরোজা। শয়তানকে বাঁধা হয় শেকলে। এ মাসে একটি রজনী রয়েছে যা সহস্র মাস হতে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল সে যেন যাবতীয় কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হল।
সুতরাং আমাদের কর্তব্য হলএ মাস আসার আগেই এর যথার্থ মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। নিরবে এসে নিরবে চলে যাওয়ার পূর্বেই এ মহান অতিথির সমাদর করা। এ মাস যেন আমাদের বিপক্ষে দলীল না হয়ে দাঁড়ায় তার প্রস্তুতি সম্মন্ন করা। কারণ মাসটি পেয়েও যে এর উপযুক্ত মূল্য দিল নাবেশি বেশি পুণ্য আহরণ করতে পারল না এবং জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের পরোয়ানা পেল নাসে বড় হতভাগ্য। সবচে ভয়ংকর ব্যাপার হল এমন ব্যক্তি আল¬াহর ফেরেশতা ও খোদ রাসূল সাল¬াল¬াহু আলাইহি ওয়া সাল¬াম- এর বদ দোয়ার অধিকারী। কারণ এমন ব্যক্তির ওপর জিব্রাইল আ. লানত করেছেন আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সঙ্গে আমীন বলেছেন!

রমযানকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে সুন্নত হলরমযানের চাঁদ দেখে নিম্নের দুআটি পাঠ করা।

"اللهم أهله علينا بالأمن والإيمان والسلامة والإسلام." رواه الترمذي، وقال الترمذي هذا حديث حسن .

অতপর একে স্বাগত জানানোর সর্বোত্তম উপায়রমযানকে সকল গুনাহ থেকে বিশেষ তাওবার সাথে গ্রহণ করা। কারণ এটাতো তাওবারই মৌসুম। এ মাসে তাওবা না করলে তাওবা করবে কবেঅনুরূপভাবে রমযানকে স্বাগত জানানো ইবাদাতে দ্বিগুণ চেষ্টাদান-সাদাকাকুরআন তিলাওয়াতজিকির-ইস্তেগফার এবং অন্যান্য নেক আমল অধিক পরিমাণে করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে। এবং এ দুআর মাধ্যমে- হে আল্লাহআমাদেরকে তোমার সন্তুষ্টি মত রোজা রাখার এবং তারাবীহ আদায় করার তাওফিক দাও।

তাই আসুন আমরা এ মহান অতিথিকে বরণ করে নেয়ার এবং এ মাসের দিন-রাত্রিগুলো এমন আমালের মধ্য দিয়ে কাটানোর প্রস্তুতি নেই যা আমাদেকে আল্লাহ তাআলার প্রিয় করে তুলবে।  আমরা যেন সেসব লোকের দলে অন্তুর্ভূক্ত না হই যারা রসনা তৃপ্তির রকমারী আয়োজন ও সালাত বরবাদ করার মাধ্যমে রমযানকে স্বাগত জানায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের কবুল করুন। আমীন

be Organized by Holy Islam 
O.H.I 
For More Visit:

বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot.com/

Wednesday, July 27, 2011

রামাদানের শুভেচ্ছা



السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

রামাদানের শুভেচ্ছা




WAMY BANGLADESH
Pioneer Organization for Distinguished Youth
এটি ওয়ামী বাংলাদেশের মিডিয়া ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে একটি কার্যক্রম। কুরআন ও হাদীসের মহান বাণী, সম সাময়িক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ- নিয়ে সাজানো । উদ্দেশ্য সকলের মাঝে সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধন তৈরী করা। আপনি যদি দৈনিক এ ধরণের মেইল পেতে চান তবে wamybangladesh@gmail.com YES লিখে মেইল করুন অথবা ভিজিট করুন      http://www.ohioftruth.blogspot.com/ or http://www.facebook.com/Daily.OHI

Tuesday, July 26, 2011

ইসলামে বন্ধুত্ব



السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
ইসলামে বন্ধুত্ব

আবু হুরায়রা  (রা:) থেকে বর্ণিত। 

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
যদি দু’জন বান্দা মহান আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালবাসে, অথচ একজন প্রাচ্যে এবং অপরজন পাশ্চাত্যে বাস করে, আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন উভয়কে একত্র করে বলবেনঃ এই সেই ব্যক্তি যাকে তুমি আমার সন্তুষ্টির জন্য মহব্বত করতে।
মিশকাত হাদীস নং-৪৮০৪



be Organized by Holy Islam O.H.I For More Visit:

বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot.com/



Wednesday, July 20, 2011

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া


السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা 
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া


লেখক: শাহ আব্দুল হান্নান

দার্শনিকভাবে দেখলে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া, স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া৷ যিনি আমাকে বানিয়েছেন তাঁকে ভুলে যাওয়া৷ আল্লাহ নিজেই বলেছেন: "ইয়া আইয়্যুহাল ইনসানু মা গার্রাকা বিরাব্বিকাল কারিম" অর্থাৎ, হে মানুষ কিসে তোমাকে তোমার মহিমান্বিত রব সম্পর্কে উদাসীন করল? (৮২:৬ )
সত্যিকার অর্থেই বেশীর ভাগ মানুষ বাস্তবে স্রষ্টাকে ভুলে গিয়েছে৷ ইউরোপ-আমেরিকায় নাস্তিকের সংখ্যা অনেক৷ রাশিয়া পূর্বে অফিসিয়ালি নাস্তিক ছিল৷ এখনও সেখানে নাস্তিকতার হার কম নয়, বরং অনেক হবে৷ অন্যদিকে যারা বিশ্বাসী বলে দাবী করে তাদের মধ্যেও অনেকে সন্দেহবাদী (skeptic)৷ অর্থাৎ বলবে না যে স্রষ্টা নেই, কিন্তু বাস্তবে স্রষ্টাকে স্মরণ করবে না বা তার আদেশ মেনে চলবে না৷ স্রষ্টাকে মেনে চলবে এরকম লোকের সংখ্যা খুব কম৷
খ্রিষ্টানদের মধ্যে যারা স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে , তাদের মধ্যে স্রষ্টার কার্যকর আনুগত্য কম৷ সে তুলনায় মুসলমানদের অবস্থা ভালো৷ এখানে নাস্তিক নেই বললেই চলে এবং যারা বিশ্বাসী তারা কোন না কোন পর্যায়ে আমল করে৷ যারা নিজেদেরকে সেক্যুলার বলে দাবী করে , তাদেরও বেশীরভাগ একটা নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত আমল করে৷ তারাও নামাজ পড়ে, ইফতার করে, সাহরী খায়, হালাল-হারাম দেখে চলে৷ তারাও কুরবানী, হজ্জ, ওমরা ও ঈদ পালন করে৷ সুতরাং মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের অনুশীলন তুলনামূলকভাবে ভাল৷
স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়ার ফলে দু'টি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছেএকটি হলো বস্তুবাদ ও নাস্তিকতাআরেকটি হলো গোড়া সেক্যুলারিজম - সেটিও স্রষ্টাকে প্রায় অস্বীকার করার কাছাকাছি একটি অবস্থাবিশ্ব সংকটের মূলে কাজ করছে এ দু'টি - একদিকে বস্তুবাদ ও নাস্তিকতা এবং অন্যদিকে সেক্যুলারিজম
স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়ার প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও পড়েছেশিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সেক্যুলারিজমের উপর দাড়িয়ে আছেবর্তমান বিজ্ঞান শিক্ষাতে রয়েছে সেক্যুলারিজমের গভীর ছাপইউরোপের পন্ডিতরা এমনকি বর্তমানে মুসলমান বিজ্ঞানীরাও তাদের বইগুলো 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' দিয়ে শুরু করেন নাকিন্তু মুসলমানরা যখন বিজ্ঞানে উন্নতি করল (চীন ও ভারত থেকে গ্রহন করে), তখন তারা অনেক দিকে বিজ্ঞানের বিস্তার ঘটালসেসময় ঐসব মুসলমানরা তাদের বিজ্ঞানের প্রত্যেক বইগুলো 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' দিয়ে শুরু করতেনতারা স্রষ্টায় বিশ্বাসী ছিলেন গভীরভাবেকিন্তু ইউরোপীয় বিজ্ঞানিরা বিশ্বাসী না হওয়ায় (অথবা সেক্যুলার হওয়ায় কিংবা স্রষ্টায় বিশ্বাস করা তাদের কাছে একটি লজ্জার বিষয় হওয়ায়), তারা স্রষ্টার কথা উল্লেখ করেননাআমাদের মুসলিম বিজ্ঞানীরা এটি এখন লিখতে পারেনকিন্তু তারাও লিখছেননাএখন না লেখা রেওয়াজ হয়ে গেছেঅথচ আগে লেখাটাই রীতি ছিলএখন বিজ্ঞানের বইগুলোতে আল্লাহ বা গড শব্দের উল্লেখ নেইস্রষ্টা (creator) শব্দটি লেখা হয় না এটি একটি অদ্ভুত ব্যাপারকোথাও কোথাও প্রকৃতি (Nature) শব্দের উল্লেখ আছেকিন্তু এই প্রকৃতি কি সেটি একেবারেই স্পষ্ট নয়তারা একবারও ভাবেনা যে, এসব প্রাকৃতিক আইন আছে কিভাবে, আইন প্রণেতা ছাড়া কি কোন আইন হয়? তারা নাকি খুব যুক্তিবাদী, কিন্তু আমি তো কোন যুক্তি দেখছি না
আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক ভালো দিক আছে, অনেক অবদান আছে আমরা মানিকিন্তু এর পেছনে কাজ করছে এমন একটি মন যেটি স্রষ্টার প্রশ্নে, আল্লাহ তায়ালার ব্যাপারে সন্দেহ-সংশয়বাদীতায় ভুগছেস্রষ্টাকে স্পষ্ট স্বীকৃতি দিচ্ছে নাআল্লাহর নাম উল্লেখ করছে নাএটি উল্লেখ করা সভ্যতা বিরোধী মনে করছেএটি একটি পশ্চাৎপদ ব্যাপার মনে করছেএই যে ধারণা এটা আমাদের কালচারকে খারাপ করে ফেলছেআমাদের কালচারে সংশয়বাদ ও নাস্তিকতার প্রভাব পড়ছে
সমাজবিজ্ঞানেরও একই রকম অবস্থাসমাজতত্ত্ব ধরেই নেবে যে ধর্ম একটি মানব সৃষ্ট বিষয়অথচ তারা এভাবে দেখাতে পারত যে, স্রষ্টাই আমাদের সৃষ্টি করেছেনআমাদের একটি সামাজিক প্রবণতা বা সামাজিক মন দিয়েছেনস্রষ্টার সার্বিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আমাদের মধ্যে সমাজবদ্ধ হবার মানসিকতা রয়েছেএজন্য আমরা একতাবদ্ধ হই এবং সমাজ গঠন করিশিক্ষা ব্যবস্থার অন্যান্য সেক্টরেরও একই অবস্থাযেমন নৃবিজ্ঞানও স্বীকার করছেনা যে , মানুষকে আল্লাহর সৃষ্টি করেছেনএটিকে তারা একেবারেই বাদ দিয়ে দিচ্ছে নৃবিজ্ঞান মানব সৃষ্টির ইতিহাস বের করার চেষ্টা করছে মাটি খুড়ে বের করা হাড় এবং অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক চিহ্ন থেকেএসব থেকে তারা যে ইতিহাস লিখছে তাতে তারা বলছে, মানুষ এমনি এমনিই হয়েছে; কোন স্রষ্টা নেইএখানে উল্লেখ করতে চাই যে, দারিদ্র বিশ্বের একটি বড় সংকট, দারিদ্রের জন্য মানুষের একটি বিরাট অংশ ভাল হতে পারেনা সংকটের মূলেও রয়েছে ঐ আল্লাহকে না মানা, বস্তুবাদ এবং সেক্যুলারিজম
মানুষ বস্তুবাদী হয়ে গেছেগরীবের জন্য, দারিদ্র দূর করার জন্য কাজ করার প্রয়োজনীয়তা সে উপলব্ধি করছেনাঅনেকেই দারিদ্র দূর করার জন্য ওয়াদা করে থাকেআসলে তারা ওয়াদা করার জন্য ওয়াদা করে, কথা বলার জন্য বলেসত্যিই কি কার্যকরভাবে তারা এগুলো চায়? বিশেষ করে দেশের পুঁজিবাদীরা এগুলো চায়না বলেই মনে হয়কারণ পুঁজিবাদের তত্ত্বে গরীবের কথা নেইপ্রফিটের কথা আছে, মুক্ত বাজারের কথা আছেসেখানে সরকারী হস্তক্ষেপ না করার কথা বলা হয়েছেবিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে বাজারের বিকৃতি (Market distortion) দূর করার কথা পুঁজিবাদী তত্ত্বের কোথাও নেইগরীবের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে এটা পুঁজিবাদের কোথাও বলা নেইযদিও এটা এখন পুঁজিবাদী দেশে করা হচ্ছেকিন্তু এ ব্যবস্থা তারা পুঁজিবাদের কাঠামো থেকে বের হয়ে এসেই নিচ্ছে
কলোনিয়ালিজম এবং ইম্পেরিয়ালিজমও এসেছে বস্তুবাদ থেকেইনিজের ভোগ ও জাতির ভোগের প্রেরণা থেকেই এসবের উৎপত্তিএসবকিছুর মূল উদ্দেশ্য মানুষকে শোষণ (exploit) করা এই যে বস্তুবাদী স্বার্থপরতা এবং পুঁজিবাদ - এসব পরস্পর বিচ্ছিন্ন নয়এসবকিছু মিলে মানুষকে দায়িত্বহীন বানিয়েছে , তাকে ভোগবাদী করে তুলেছেদায়িত্বশীল কাদের বলা যেতে পারে? যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং দুনিয়াকে এক্সপ্লয়েট করেনাসুতরাং সকল সমস্যার মূল কারণ যদি বলতে হয়, আমি বলব স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়াএজন্য যুগে যুগে নবী-রাসূলরা আহবান করেছেন আল্লাহকে মানো এবং বল, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' - আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেইএ সমস্যার সমাধান হচ্ছে মানুষের মধ্যে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা মুসলিমদের এমনকি অমুসলিমদের জন্যও বলবো, যে কোন ধর্মের প্রতি বিশ্বাস নাস্তিকতা থেকে ভালকারণ প্রত্যেক ধর্মের একটা এথিক্স বা নীতিবোধ আছেনাস্তিকতার কোন নীতিবোধ নেইসে তো নিজেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন মনে করেসে বিশ্বাস করে তার কোন বিচার হবে না, তার কোন জবাবদিহিতা নেই; সুতরাং দুনিয়ায় যা ইচ্ছা সে করতে পারেএ ধরণের লোক সমাজের জন্য ভয়ংকরএজন্য সবার মধ্যে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে আল্লাহকে চেনাতে হবে যতদূব সম্ভবসঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবেএভাবেই সমাজ তথা বিশ্ব থেকে স্বার্থপরতা দূর হতে পারে, মূল রোগ তথা মূল সমস্যা দূর হতে পারে


বিস্তারিত পড়ুনঃ

ক্রম
বই
লেখক
পাতা
ডাউনলোড
প্রিন্ট
মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী
৩৬২
শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব নাজদী
১৪৬
শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব নাজদী
২৩
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ
৩৬
হাফেজ মুহাম্মদ আইয়ুব
২১
আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলায়মান
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
২০
মুহাম্মদ হারুন হুসাইন
১১১
১০
ডাঃ জাকির নায়েক
১৯
১১
মাওলানা আব্দুস শহীদ নাসিম
৩০
১২
ড. আবু আমীনাহ বিলাল ফিলিপ্‌স
২৭৯
১৩
মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী
৩৮
১৪
কাউসার বিন খালিদ
১৫
ইসলামী দাওয়াহ ও নির্দেশনা অফিস, শাফা
১১৩
১৬
শায়েখ আবুল কালাম আযাদ
১২৬
১৭
দাওয়াহ সেন্টার রিয়াদ
৩৬
১৮
সংকলন মুহাম্মদ নাসীল শাহরুখ
২৭২
১৯
ড. ইব্রাহীম বিন মুহাম্মদ আল-বুরাইকান
৬৮


be Organized by Holy Islam 
O.H.I 

For More Visit: