Tuesday, May 31, 2011

নিজেকে আল্লাহ বলে প্রকাশের ভানকারী শয়তান


  السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


নিজেকে আল্লাহ বলে প্রকাশের ভানকারী শয়তান

নিজেকে আল্লাহ বলে প্রকাশের ভানকারী শয়তান সন্মন্ধ্যে শায়খ আব্দুল ক্বাদির আল জীলানি (১০৭৭-১১৬৬ খ্রীঃ) একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য। বিস্ময়কর আলোর জ্যোতি অবলোকন করে যারা আল্লাহকে দেখেছে বলে দাবী করে এবং এ জ্যোতির দর্শনের পরে কেন তারা ইসলামের মৌলিক চর্চাসমূহকে পরিত্যাগ করে, শায়খের ঘটনায় তার ব্যাখ্যা মিলে। 

তিনি বলেন, একদিন গভীরভাবে ইবাদাতে নিমগ্ন থাকাবস্থায় হঠাৎ আমার সামনে একটি জমকালো সিংহাসন দেখতে পেলাম। এ সিংহাসনের চারিদিকে ঝলমলে আলোর জ্যোতি বিচ্ছুরিত হচ্ছিল।

এমন সময় একটা বজ্রগম্ভীর কন্ঠ আমার কানে এসে আঘাত করল, ‘হে আব্দুল ক্বাদির, আমি তোমার রব! অন্যের জন্য আমি যা হারাম করেছি তা তোমার জন্য হালাল করে দিলাম। ‘আব্দুল ক্বাদির জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি সেই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।’ এ প্রশ্নের কোনই উত্তর না এলে তিনি বললেন, ‘দূর হয়ে যা, হে আল্লাহর শত্রু ।’ তৎক্ষণাৎ আলোটি নিস্প্রভ হয়ে গেল এবং তাকে অন্ধকার আচ্ছন্ন করল।

তারপর কন্ঠটি বলল, ‘হে আব্দুল ক্বাদির, ধর্ম সম্পর্কে তোমার বোধশক্তি এবং জ্ঞানের শক্তিতেই তুমি আমার দুরভিসন্ধিকে বাতিল করতে সক্ষম হয়েছ। এ একই কৌশলের সাহায্যে আমি সত্তর জনেরও অধিক সংখ্যক অত্যন্ত ধার্মিক ইবাদাতকারীকে বিপথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছি।’

সেই কন্ঠটি যে শয়ত্বান ছিল তা’ আব্দুল ক্বাদির কিভাবে বুঝতে পেরেছিলেন সে সম্পর্কে লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু জানতাম যে, রাসূল(সা)-এর উপর অবতীর্ণ বিধানকে কোন ক্রমেই বাতিল বা পরিবর্তন করা যায় না, ফলে অন্যের জন্য হারামকৃত বিষয়সমূহকে আমার জন্য বিশেষভাবে হালাল করে দেয়ার কথা বলার পর আমি তাকে শ্বয়তান বলে গণ্য করেছিলাম। তাছাড়া, শ্বয়তান স্বয়ং আমার রব বলে দাবী করেছিল, কিন্তু শরীকবিহীন আল্লাহ বলে সে নিজেকে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে বিধায় আমি তার শ্বয়তান হওয়ার ব্যাপারে আর ও দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হয়েছিলাম। ’  

ইবনু তাইমিয়া, আত-তাওয়াসসুল ওয়াল-ওয়াসীলাহ (রিয়াদঃ দার আল-ইফতা, ১৯৮৪), ২৮ পৃ  [সংগ্রহ- তাওহীদের মূল নীতিমালা-পৃষ্ঠা-১৭৬-১৭৭]
  


be Organized by Holy Islam 

O.H.I For More Visit:

Monday, May 30, 2011

আরাকানের নিস্পেষিত মুসলিম সমাজ


السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

আরাকানের নিস্পেষিত মুসলিম সমাজ

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ لاَ تَسْفِكُونَ دِمَاءكُمْ وَلاَ تُخْرِجُونَ أَنفُسَكُم مِّن دِيَارِكُمْ ثُمَّ أَقْرَرْتُمْ وَأَنتُمْ تَشْهَدُونَ
ثُمَّ أَنتُمْ هَـؤُلاء تَقْتُلُونَ أَنفُسَكُمْ وَتُخْرِجُونَ فَرِيقاً مِّنكُم مِّن دِيَارِهِمْ تَظَاهَرُونَ عَلَيْهِم بِالإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَإِن يَأتُوكُمْ أُسَارَى تُفَادُوهُمْ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْكُمْ إِخْرَاجُهُمْ أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاء مَن يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنكُمْ إِلاَّ خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ

যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা পরস্পর খুনাখুনি করবে না এবং
 নিজেদেরকে দেশ থেকে বহিস্কার করবে না, তখন তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং তোমরা তার সাক্ষ্য দিচ্ছিলে।
অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি করছ এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ। তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমণ করছ। আর যদি তারাই কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিস্কার করাও তোমাদের জন্য অবৈধ। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ্‌ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।
বাকারা ৮৪-৮৫

أَوْ أُنثَى بَعْضُكُم مِّن بَعْضٍ فَالَّذِينَ هَاجَرُواْ وَأُخْرِجُواْ مِن دِيَارِهِمْ وَأُوذُواْ فِي سَبِيلِي وَقَاتَلُواْ وَقُتِلُواْ لأُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ ثَوَابًا مِّن عِندِ اللّهِ وَاللّهُ عِندَهُ حُسْنُ الثَّوَابِ 

তারপর সে সমস্ত লোক যারা হিজরত করেছে, তাদেরকে নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রতি উৎপীড়ন করা হয়েছে আমার পথে এবং যারা লড়াই করেছে ও মৃত্যূবরণ করেছে, অবশ্যই আমি তাদের উপর থেকে অকল্যাণকে অপসারিত করব। এবং তাদেরকে প্রবিষ্ট করব জান্নাতে যার তলদেশে নহর সমূহ প্রবাহিত। এই হলো বিনিময় আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ্‌র নিকট রয়েছে উত্তম বিনিময়।






مَنْ ظَلَمَ قِيدَ شِبْرٍ مِنَ الأرْضِ طُوِّقَهُ منْ سَبْعِ أَرَضِينَ 

আইশা (রা) থেকে বর্ণিত;

তিনি বলেনরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ জমিতে জুলুম করল(জবরদখল করে নিল; কিয়ামতের দিন) সাত তবক জমিন তার গলায় লটকিয়ে দেয়া হবে

বিস্তারিত 








Sunday, May 29, 2011

হিসাবের আমানত


  السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

হিসাবের আমানত


আল্লাহ বলেন,
নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তোমাদিগকে নির্দেশ দেন যেতোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ করতখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ্‌ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ শ্রবণকারীদর্শনকারী।  (আল-কুরআন;আন-নিসা-৫৮)
ِ
তোমরা ওয়াদা (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ করোনিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে.
(বনী ঈস্রাইল -৩৪)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা করো না তা কেন বলোতোমরা যা করো না তা বলা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত অসন্তোষজনক.
সুরা সফঃ২-৩

আমানতদারীর নমুনা:
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা) খিলাফতের প্রশাসনিক ক্ষমতার ন্যায় রাষ্ট্রের অর্থ-সম্পদকে এক বিরাট আমানতরুপে গণ্য করতেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন বলে প্রথম দিকে তিনি রাষ্ট্রীয় তহবিল হতে কোন বেতন-ভাতাই নিতেন না। কিন্তু পরবর্তী কালে খিলাফতের কাজে সার্বক্ষনিক ব্যস্ততার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে পড়ায় তিনি রাষ্ট্রীয় তহবিল হতে একজন সাধারণ নাগরিকের ন্যায় নামমাত্র ভাতা গ্রহণ করতে শুরু করেন। এতে তার পরিবারের ভরণ-পোষনের কাজ কোন প্রকারে চলে যেত।
এই পরিস্থিতিতে তার স্ত্রী এই বরাদ্দ থেকে কিছু খাদ্য জমিয়ে একদিন একটি মিষ্টি খাবার তৈরী করেন। খলিফা অবাক হয়ে স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তার স্ত্রী নিয়মিত বরাদ্দ হতে কিছু কিছু খাদ্য বাচাবার কথা খুলে বলেন। শুনে খলিফা মন্তব্য করেনঃ
যে পরিমাণ খাদ্য বাচিয়ে এ মিষ্টি তৈরী করা হয়েছেতা আমাদের না হলেও চলত। কাজেই ভবিষ্যতে বায়তুল মাল (সরকারী কোষাগার) হতে ঐ পরিমাণ খাদ্য কম আনা হবে।
রাষ্ট্রীয় তহবিলের আমানতদারীর ব্যাপারে তিনি কতখানি সতর্ক ছিলেনএই ঘটনা হতে তা প্রমাণিত হয়।
(খিলাফতে রাশেদাপৃষ্ঠা নং;৮২-৮৩,টীকা-২)লেনঃকোন প্রাণী জানে না যে,আগামীকাল সে কি উপার্জ়ন করবে,না কেউ জানে তার মৃত্যূ

আবু মুসা আল-আশয়ারী  (রা) বর্ণিত,

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে বিশ্বস্ত কোষাধ্যক্ষ তাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্টিচিত্তে কাজে পরিণত করেএমনকি (যা দান করতে বলা হয়েছে তা) দান করে এবং যাকে যা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে তাকে তা দেয় সেও দানকারীদ্বয়ের একজন (অপরজন স্বয়ং দাতা বা মালিক).

[সুনান আবু দাঊদ হাদীস নং ১৬৮৪]

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন,
চারটি গুণ যদি তোমাকে দান করা হয় তবে পার্থিব অন্য কিছু না পেলেও তোমার কোন ক্ষতি নেই।
1.    উত্তম স্বভাব-চরিত্র
2.    উত্তম ও পরিচ্ছন্ন রিযিক
3.    সত্য ভাষণ এবং
4.    আমানত সংরক্ষণ
 আল আদাবুল মুফরাদ হাদীস ২৮৮

 




be Organized by Holy Islam 

O.H.I For More Visit:


Wednesday, May 25, 2011

অধীনস্তদের প্রতি দায়িত্বশীলের আচরণ


السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

অধীনস্তদের প্রতি দায়িত্বশীলের আচরণ


হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত;
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
আল্লাহ বলেছেন,
কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির সাথে আমার ঝগড়া হবে
·       (১) ঐ ব্যক্তিযে আমার নামে চুক্তি করে তা ভঙ্গ করেছে
·       (২) সেই ব্যক্তিযে কোন মুক্ত মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করেছে;
·       (৩) সেই ব্যক্তিযে মজুরের দ্বারা কাজ পুরোপুরি করিয়ে নিয়েছে কিন্তু কোন পারিশ্রমিক দেয় নি.
(বুখারী)

হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত;
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
তোমাদের অধীনস্তরা প্রকৃতপক্ষে তোমাদের ভাই. তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের অধীনস্ত করেছেন;
সুতরাং আল্লাহ যার ভাইকে তার অধীন করে দিয়েছেন সে তার ভাইকে যেন তাই খাওয়ায় যা সে নিজে খায়,
তাকে পরিধান করায় যা সে নিজে পরিধান করে. আর তার সাধ্যের বাইরে কোন কাজ যেন তার উপর না চাপায়.
একান্ত যদি চাপান হয়তবে তা সমাধান করার ব্যাপারে তাকে সাহায্য করা উচিত.
(বুখারীমুসলিম)

হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত;
তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা) এর সর্বশেষ বাণী ছিলো,
·       (১) সালাত,
·       (২) যারা তোমাদের অধীন তাদের ব্যাপারে আল্লাহ কে ভয় করো.
(আল আদাবুল মুফরাদ)

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন,
তোমাদের কোন অধীনস্ত যদি তোমাদের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করে নিয়ে আসে তখন তাকে হাতে ধরে নিজের সঙ্গে খেতে বসাও,
সে যদি বসতে অস্বীকার করে তবু দুই এক মুঠি খাদ্য অন্ততঃ তাকে অবশ্যই খেতে দিবেকারণ সে আগুনের উত্তাপ ও ধুম্র এবংখাদ্য প্রস্তুত করার কষ্ট সহ্য করেছে।
(তিরমিযী)


হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত;
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
কেউ তার অধীনস্তকে অন্যায়ভাবে দোররা মারলেও কিয়ামতের দিন তার থেকে বদলা নেয়া হবে।

[তাবরানী] হাদীসে রাসূল ২৫৭

 

হযরত আবু বকর (রা) থেকে বর্ণিত;
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
অধীনস্তদের প্রতি অন্যায় ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না

[ইবনে মাযাহ] হাদীসে রাসূল ২৫৬

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত;
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
কোন ব্যক্তির গোনাহগার হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যার রিজিকের দায়িত্বশীল তার রিজিক নষ্ট করে।

[আবু দাঊদ] হাদীসে রাসূল ২৫৮


বিস্তারিত পড়ুনঃ


মাওলানা আবদুর রহীম
শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন
মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী



be Organized by Holy Islam 

O.H.I For More Visit: