Sunday, February 20, 2011


  السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

ভাষার প্রয়োজনীয়তা

إِنَّا أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
আমি একে আরবী ভাষায় কুরআন বানিয়ে নাযিল করেছি, যাতে তোমরা (আরববাসীরা) একে ভালোভাবে বুঝতে পারো৷
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ۖ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
আমি নিজের বাণী পৌছাবার জন্য যখনই কোন রসূল পাঠিয়েছি, সে তার নিজের সম্প্রদায়েরই ভাষায় বাণী পৌছিয়েছে, যাতে সে তাদেরকে খুব ভালো করে পরিষ্কারভাবে বুঝাতে পারে৷ তারপর আল্লাহ যাকে চান তাকে পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হেদায়াত দান করেন৷ তিনি প্রবল পরাক্রান্ত ও জ্ঞানী৷ 
وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّلْعَالِمِينَ
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের পার্থক্য৷ অবশ্যই তাঁর মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানবানদের জন্য৷ 
قُرْآنًا عَرَبِيًّا غَيْرَ ذِي عِوَجٍ لَّعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ
আরবী ভাষার কুরআন যাতে কোন বক্রতা নেই৷ যাতে তারা মন্দ পরিণাম থেকে রক্ষা পায়
كِتَابٌ فُصِّلَتْ آيَاتُهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
এটি এমন এক গ্রন্থ যার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে৷ আরবী ভাষার কুরআন৷ সেই সব লোকদের জন্য যারা জ্ঞানের অধিকারী, 
(হা-মীম আস সাজদাহ-৩) ব্যাখ্যার জন্যে ক্লিক করুন
وَلَوْ جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا أَعْجَمِيًّا لَّقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ آيَاتُهُ ۖ أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ ۖ وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى ۚ أُولَٰئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ
আমি যদি একে আজমী কুরআন বানিয়ে পাঠাতাম তাহলে এসব লোক বলতো, এর আয়াসমূহ সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করা হয়নি কেন ? কি আশ্চর্য কথা, আজমী বাণীর শ্রোতা আরবী ভাষাভাষী এদের বলো, এ কুরআন মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রোগ মুক্তি বটে৷ কিন্তু যারা ঈমান আনে না এটা তাদের জন্য পর্দা ও চোখের আবরণ৷ তাদের অবস্থা হচ্ছে এমন যেন দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে৷ 
(হা-মীম আস সাজদাহ -৫৪) ব্যাখ্যার জন্যে ক্লিক করুন
وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَىٰ وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
হে নবী, এভাবেই আমি এই আরবী কুরআন অহী করে তোমার কাছে পাঠিয়েছি যাতে তুমি জনপদসমূহের কেন্দ্র (মক্কানগরী) ও তার আশেপাশের অধিবাসীদের সতর্ক করে দাও এবং একত্রিত হওয়ার দিন সম্পর্কে ভয় দেখাও যার আগমনে কোন সন্দেহ নেই৷ এক দলকে জান্নাতে যেতে হবে এবং অপর দলকে যেতে হবে দোযখে৷
إِنَّا جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
আমি একে আরবী ভাষার কুরআন বানিয়েছি যাতে তোমরা তা বুঝতে পারো৷
وَمِن قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَىٰ إِمَامًا وَرَحْمَةً ۚ وَهَٰذَا كِتَابٌ مُّصَدِّقٌ لِّسَانًا عَرَبِيًّا لِّيُنذِرَ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَبُشْرَىٰ لِلْمُحْسِنِينَ
অথচ এর পূর্বে মূসার কিতাব পথ-প্রদর্শক ও রহমত হয়ে এসেছিলো৷ আর এ কিতাবে তার সত্যায়নকারী, আরবী ভাষায় এসেছে যাতে জালেমদের সাবধান করে দেয়এবং সৎ আচরণ গ্রহণ-কারীদের সুসংবাদ দান করে৷


যায়েদ ইবনে সাবিত(রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদীদের কিতাবী ভাষা শিক্ষার জন্য আমাকে আদেশ করেন এবং বলেন:
আল্লাহর কসম! আমার পত্রাদির ব্যাপারে আমি ইহুদীদের উপর নিশ্চিন্ত হতে পারি না।
তিনি (রাবী) বলেন, অত:পর অর্ধমাস (১৫ দিন) যেতে না যেতেই আমি সুরিয়ানী ভাষা আয়ত্ব করে ফেললাম
এ ভাষা শিক্ষার পর থেকে তিনি ইহুদীদের কাছে কোন কিছু লিখতে চাইলে আমিই তা লিখে দিতাম আর তারা যদি তার কাছে কোন চিঠি পাঠাতো, আমিই তা তাকে পড়ে শুনাতাম
(আত-তিরমিযী:৫ম খন্ড; অনুচ্ছেদ-২২ হাদীস নং-২৬৫২)



Thursday, February 17, 2011

সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার কিতাব


  السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার কিতাব

জাবির (রা) থেকে বর্ণিত;
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ অতঃপর অবশ্য অবশ্যই সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার কিতাব। আর সর্বোচ্চ পথ হচ্ছে মুহাম্মদ(স)-এর পথ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হ্ল দ্বীনে নতুন (মনগড়া) জিনিস সৃষ্টি করা। এরুপ সব নতুন জিনিসই গুমরাহী (পথভ্রষ্ট)। 
(মুসলিম) হাদীস নং-৮৬৭


be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:

Sunday, February 13, 2011

ইহকালে নয় পরকালেই আল্লাহকে দেখা যাবে



  السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
ইহকালে নয় পরকালেই আল্লাহকে দেখা যাবে

আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত;
একদিন একদল লোক রাসুলুল্লাহ(সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূল(সা) আমরা কি কিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখতে পাবো রাসুলুল্লাহ(সা.) বললেন,

কিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখতে পাবে, তাঁকে দেখতে কোনই কষ্ট হবে না.

বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৪৯০

বিস্তারিত পড়ুনঃ


হাফেজ মুহাম্মদ আইয়ুব
আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলায়মান


be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:

অনলাইনে বই পড়ুনঃ

Wednesday, February 9, 2011

কষ্ট-যাতনার মুখে সহনশীল হওয়া


السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
কষ্ট-যাতনার মুখে সহনশীল হওয়া


وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذلِكَ لَمِنْ عَزْمِ ٱلْأُمُورِ
আল্লাহ বলেন,
যে ধৈর্য্য ধারণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে নিশ্চয়ই (সে যে জেনে রাখে) এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ
আল কুরআন- সুরা শু'রা ৪৩


এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল!
·   আমার কিছু আত্বীয়-স্বজন রয়েছে, যাদের সাথে আমি  আত্বীয়তার বন্ধন রক্ষা করি, কিন্তু তারা তা ছিন্ন করে।
·   আমি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করি, কিন্তু তারা আমার সাথে মন্দ ব্যবহার করে।
·   আমি তাদের সাথে সহনশীলতা দেখাই, কিন্তু তারা আমার সাথে অজ্ঞতা সুলভ আচরণ করে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
যদি তোমার সাথে এরকমই করা হয় যেরকম তুমি বললে, তবে যেন তুমি তাদের প্রতি গরম বালি ছুড়ে মারছ। যতক্ষণ তুমি এ নীতির উপর অবিচল থাকবে, আল্লাহরপক্ষ থেকে এক সাহায্যকারী (ফেরেশতা)তাদের মোকাবিলায় তোমাকে সাহায্য করতে থাকবে।       
রিয়াদুস সালেহীন-২য় খন্ড অনুচ্ছেদ -৭৬ হাদীস নং- ৬৪৮

be Organized by Holy Islam 
O.H.I
For More Visit:

অনলাইনে বই পড়ুনঃ