السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
সম্পদে নারীর উত্তরাধিকার : ইসলামই
দিয়েছে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা
·
মেয়ে কেন ছেলের
অর্ধেক পায় ?
এখানে জোরালো একটি প্রশ্ন থেকে যায় আর তা হচ্ছে ছেলে থাকা
অবস্থায় "মেয়ে", ভাই
থাকলে "বোন" কেন তার অর্ধেক পাবে? তার
মানে কি মেয়ে-সন্তান ছেলে-সন্তানের অর্ধেক
মর্যাদা রাখে? এ সংশয় নিরসনের পূর্বে স্মরণ করা প্রয়োজন যে ইসলামি
উত্তরাধিকার বিধানে নারী-পুরুষের বিভাজনটি মৌলিক কোন
লক্ষণীয় বিষয় নয়। বরং
সামাজিক দায়ভার ও আর্থিক প্রয়োজনীয়তার কারণেই সাধারণত
প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তফাৎ হয়ে থাকে। ছেলে সন্তান মেয়ের
দ্বিগুণ পাওয়ার অনেক গুলো যৌক্তিক কারণের মধ্যে কয়েকটি হলো,
১.
পারিবারিক দায়িত্ব:
পরিবারের কর্তা হিসেবে
সব খরচপাতি বহন করতে হয় ছেলেকে। পিতা-মাতার খেদমত,
সন্তান-সন্ততির লালনপালন এবং আত্মীয়-স্বজনদের
খোঁজ খবর নেওয়ার দায়িত্বও মূলত পুরুষের উপরই অর্পন করেছে
ইসলাম। বিপরীতে
মেয়ে এসব দায়িত্ব থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। তারপরও ইসলাম তাকে
বঞ্চিত করেনি।
২.
স্ত্রীর যাবতীয় অধিকার:
দাম্পত্য জীবনে
প্রবেশের পথে পুরুষকে গুণতে হয় স্ত্রীর
দেনমোহর বাবদ একটি মোটা অংকের কড়ি। আর বিয়ের পর স্ত্রীর ভরণপোষণ ও যাবতীয় খরচপাতিও এই পুরুষকেই বহন করতে হয়। পক্ষান্তরে মেয়ে বিয়ের
আগে থাকে পিতার তত্বাবধানে। তার আদর সোহাগে বড় হয়। বিয়ের
সময় স্বামীর কাছ থেকে দেনমোহর পায়। তারপর তার ভরণপোষণের যাবতীয় দায়িত্ব স্বামীর।
সাংসারিক খরচ বাবদ
একটি পয়সাও তাকে ব্যয় করতে হয় না। সবই স্বামীর
দায়িত্ব। তাই তার প্রাপ্ত
সম্পদের মূলধন কখনো হ্রাস পায় না। এরপরও তো ইসলাম তাকে বঞ্চিত করেনি।
বরং ইসলাম
তার সম্পদকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে অত্যন্ত সুন্দরভাবে।এসব যৌক্তিক কারণে ইনসাফ ও ন্যায় বিচারের
দাবী হলো ছেলেকে মেয়ের চেয়ে বেশী দেওয়া। যেহেতু ইনসাফ
হলো সুষম বন্টন, সমান বন্টন নয়।
পরিশেষে সত্য উচ্চারণ
করে বলতে হয় - ইসলামের উত্তরাধিকার বিধান একটি মানবিক ও ন্যায়সঙ্গত বিধান। যেখানে প্রত্যেক শ্রেণীর ওয়ারিসের তার উচিত
প্রাপ্যাংশ লাভের নিশ্চয়তা রয়েছে। সত্য উপলব্ধিকারী অমুসলিম চিন্তাবিদ
Gostaf lobon ইসলামি উত্তরাধিকার বিধানকে মূল্যায়ন করেছেন
এভাবে :
কুরআনে বর্ণিত উত্তরাধিকার বিধান বড়ই ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক। এ বিধানকে ফরাসি ও ব্রিটিশ আইনের সাথে তুলনা করে আমার
কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়েছে যে ইসলামি শরিয়া বা বিধান স্ত্রীদেরকে
উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে এমন সব অধিকার দিয়েছে যার কোন দৃষ্টান্ত
খুঁজে পাওয়া যায় না আমাদের আইনসমূহে।
হ্যাঁ,
আল্লাহর দেওয়া বিধানের তুলনা কোন মানব রচিত বিধানের সাথে
চলেনা। আল্লাহর আইন সর্বকালের,
সর্বস্থানের এবং সকলের জন্য। আর আল্লাহর আইন অনুসরণেই রয়েছে মানবাতার মুক্তি, শান্তি ও সাফল্যের নিশ্চয়তা।
লেখক :
মুহাম্মদ আফীফ ফুরকান
http://www.islamhouse.com/
http://www.islamhouse.com/
(স্মরণ করি-২৪৮ পর্ব)
WAMY BANGLADESH
Pioneer Organization for Distinguished Youth
এটি
ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অফ মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামী), বাংলাদেশ অফিসের মিডিয়া ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে একটি কার্যক্রম ।
কুরআন ও হাদীসের মহান বাণী, সম সাময়িক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ- নিয়ে সাজানো ।
উদ্দেশ্য সর্বস্তরের
মানুষের সাথে সম্পর্কের দৃঢ়
বন্ধন তৈরী করা। বিস্তারিত
জানতে মেইল করুন wamybangladesh@gmail.com অথবা
ভিজিট করুন http://www.ohioftruth.blogspot.com/
or http://www.facebook.com/Daily.OHI