Tuesday, August 16, 2011

রামাদান ম্যানুয়েল-১৫: রামাদান মাস, এ মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


রামাদান ম্যানুয়েল-১৫: রামাদান মাস, এ মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে




O.H.I 
For More Visit:
      http://www.youtube.com/trueohi
      


বই পড়ুনঃ 

রামাদান ম্যানুয়েল-১৪: রোযাদারের জন্য স্ত্রীকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করার বিধান


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


রামাদান ম্যানুয়েল-১৪: রোযাদারের জন্য স্ত্রীকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করার বিধান

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. রোযা অবস্থায় (স্ত্রীকে) চুমু দিতেন এবং আলিঙ্গন করতেন। কিন্তু আপন (জৈবিক) চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তোমাদের মধ্যে সবচেবেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী।

অপর বর্ণনায় আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূল সা. রমজান মাসে রোযা অবস্থায় (স্ত্রীদের) চুম্বন করতেন।

অন্য এক বর্ণনায় আয়েশা (রা.) বলেন, তোমাদের মাঝে কে নিজের চাহিদা পূরনের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রাখে যেমন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রাখতেন রাসূলুল্লাহ সা.।

আবু দাউদের এক বর্ণনায় আয়েশা রা. হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূল সা. আমাকে এমন অবস্থায় চুমু দিতেন যখন আমরা উভয়ে রোজাদার।

ইবনে হিব্বানের  বর্ণনায় এসেছে, আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান আয়েশা রা. হতে বর্ণনা করেন- তিনি বলেছেন, রাসূল সা. নিজ স্ত্রীদের রোযা অবস্থায় চুমু দিতেন। আমি আয়েশা রা. কে জিজ্ঞেস করলাম ফরজ এবং নফল সব ধরনের রোযা অবস্থায়? তিনি বললেন, ফরজ-নফল সব ধরনের রোযা অবস্থায়।

হাফসা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল তাকে রোযা অবস্থায় চুমু দিতেন।

ওমর বিন আবু সালমা রা. হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল সা. কে জিজ্ঞাসা করেন রোজাদারের জন্য চুমু দেয়া বৈধ কিনা? রাসূল সা. বলেন, তুমি এ বিষয় উম্মে সালমা রা. কে জিজ্ঞাসা কর। উম্মে সালমা তাকে জানান, রাসূল সা. তা (স্ত্রী-চুম্বন) করতেন। ওমর বিন আবু সালমা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তাআলা আপনার অগ্র-পশ্চাতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন (আপনার কথা ভিন্ন)। রাসূল সা. তাকে বললেন, আল্লাহর শপথ!  আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহভীরু এবং তোমাদের মধ্যে সবচেবেশি পরহেজগার।

ওমর ইবনে খাত্তাব রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রোজা অবস্থায় চিত্ত বিনোদন করতে গিয়ে স্ত্রীকে চুমো দিলাম। তারপর বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আজ এক জঘন্য অপরাধ করে ফেলেছিÑ রোযা থেকে আমি স্ত্রীকে চুম্বন করেছি। নবী সা. বললেন, বলত দেখি যখন তুমি পানি দ্বারা কুলি কর তার বিধান কি? উত্তর দিলাম, এতে কোন অসুবিধা নাই। তিনি বললেন, তবে তুমি কী এমন অপরাধে লিপ্ত হয়েছে? অর্থাৎ এটা কোন অপরাধই নয়।

হাদিসগুলো থেকে যা শিখলাম :
১. রোজাদারের জন্য চাই সে যুবক হোক বা বৃদ্ধ স্ত্রীকে চুমো দেয়া এবং আলিঙ্গন করা জায়েজ যদি যৌন তাড়নার বশবর্তী হয়ে সহবাসে লিপ্ত বা বীর্যপাত হবে না বলে নিজের ওপর দৃঢ় আস্থা থাকে। চাই তার রোজা নফল হোক বা ফরজ, রমজানে হোক বা অন্য কোন মাসে।

২. হাদীসে আলিঙ্গন দ্বারা উদ্দেশ্য গায়ে গা মিলানো। যেমন- স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা। আলিঙ্গন এখানে স্ত্রী সহবাস উদ্দেশ্য নয়। কারণ স্ত্রী সহবাস অবশ্যই রোযাভঙ্গকারী।

৩. রমজান মাসে কোন রোজাদার যদি আপন স্ত্রীকে চুমু দেয় অথবা স্পর্শ করে কিংবা আলিঙ্গন করে আর এতে তার বীর্যস্খলন হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। তবে এরপরও তাকে সারাদিন রোজাবস্থায় থাকতে হবে। এবং রোজা কাজা করতে হবে তাওবা-ইস্তেগফারসহ। কারণ আল্লাহ তায়ালা হাদীসে কুদসীতে বলেন, একজন রোজাদার তার চাহিদা এবং খানা-পিনা আমার কারণেই ছাড়ে। অপর এক বর্ণনায় রাসূল সা: বলেন, সে তার স্বাদ গ্রহণ আমার জন্যই ত্যাগ করে এবং তার স্ত্রী আমার জন্যই ছাড়ে। তবে যদি মজিবের হয় তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। আলেমদের বিশুদ্ধ মতানুসারে এতে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না তবে তার জন্য উচিত হলো যৌন উত্তেজক আচরণ যেগুলো হারামে পতিত করার সম্ভাবনা রাখে তা হতে বিরত থাকা। 

৪. হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় চুমু দেয়া বৈধ হওয়া রাসূল সা:-এর বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য নয় বরং সমগ্র উম্মতের জন্য এটি বৈধ। যদি এমতাবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ তথা সহবাস বা বীর্জপাত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।

৫. রাসূল সা: সবচেবেশি আল্লাহকে ভয় করতেন। কারণ আল্লাহকে তিনিই সবচেজানতেন। সবচেভালো করে চিনতেন।

৬. হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি, অতিভক্তি ও অতিরঞ্জন পরিহার করা অত্যাবশ্যক। বিশেষ করে উল্লেখিত হাদিসে রোজাবস্থায় রাসূলের সা: জন্য স্ত্রীদের চুমু দেয়া বৈধ হলেও উম্মতের জন্য তা অবৈধ- এ ধরনের আকীদা পোষণ করার কোন অবকাশ নেই। কারণ রাসূল সা: কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেননি। বরং তিনি বলেন, সাবধান! আমি তোমাদের সবারচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু ও মুত্তাকী। অন্য হাদিসে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর বিধান সম্মর্কে তোমাদের চেয়ে অধিক জ্ঞান রাখি।

৭. হালাল-হারাম সম্পর্কে জানার ব্যাপারে সাহাবীদের আগ্রহ, আল্লাহকে তারা কী পরিমাণে ভয় করতেন এবং ইবাদত-বন্দেগী নষ্ট হওয়া বা ত্রটিপুর্ণ হওয়ার আশঙ্কায় তারা যে কত সর্তকতা অবলম্বন করতেন হাদীসটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

৮. এ হাদিসে যে সকল সূফী এ আকীদা পোষণ করে যে, যারা ঈমান ও আমলে পরিপূর্ণতা লাভ করেছেন, তারা শরীয়তের বিধান পালন করার বাধ্যবাধকতা হতে মুক্ত, তাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা হলো। কারণ রাসুল সা: যিনি ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে সকল মানুষের চেয়ে কামেল তিনি নিজেই শরীয়তের বিধান  সর্বাধিক বেশি গুরুত্ব সহকারে পালন করতেন। এছাড়া হাদিসে স্পষ্ট প্রমাণ হয়- যারা মনে করে যাদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে তাদের জন্য কোন কোন নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হওয়া শিথিলতার সাথে দেখা হবে এবং  এতে তাদের কোন গুনাহ হবে না তা ভুল।

৯. ওমর বিন খাত্তাবের হাদীসে কিয়াস ও একই বিধানে দুটি বিষয় একত্র করা সাব্যস্ত হয়। যদি উভয়ে পরস্পর একই সাদৃশ্যের বা একই কারণের হয়ে থাকে। কারণ যেমনিভাবে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া কারণ হয়ে থাকে পানি গলায় বা পেটে প্রবেশ করার তা সত্তেও তাতে রোযাভঙ্গ হয় না অনুরূপভাবে স্ত্রীদের চুমু দেয়া সহবাসের কারণ হয়ে থাকে যদ্বারা রোযা ভঙ্গ হয়। কিন্তু যেহেতু উল্লেখিত প্রথমটি দ্বারা যেহেতু রোযাভঙ্গ হয় না তাহলে অপরটির বিধানও একই হবে।
·         বুখারী ১৮৪১ মুসলিম ১১২১ ।
·         eyLvwi :1826 gymwjg 1106 Avey `vD`: 2384 Avngv`: 6/44
·         gymwjg:1108
·         d‡Zvqv web evh wKZveyZ`vIqv : 164 /2 gvRgy d‡Zvqv: 268-315/15
·         kiû Be‡b evËvj 56/4 wgbnvZzj evix:364/4
Collected from Islamhouse.com

O.H.I 
For More Visit:
      http://www.youtube.com/trueohi
      


বই পড়ুনঃ 

রামাদান ম্যানুয়েল-১৩: সফর অবস্থায় রোযা রাখা না রাখা


السلام عليكم


দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


রামাদান ম্যানুয়েল-১৩: সফর অবস্থায় রোযা রাখা না রাখা

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত,

أنَّ حَمزَةَ بنَ عَمْروٍ الأَسلَميِّ قَالَ للنَّبيِّ صلى الله عليه وسلم : أَأَصُومُ في السَّفَرِ؟ وَكَانَ كَثيرَ الصِّيامِ، فقَالَ: إنْ شِئْتَ فَصُمْ وإنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْগ্ধ رواه الشيخان

হামজাহ ইবনে আমর আসলামী রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন, সফর অবস্থায় আমি কি রোযা রাখব? উল্লেখ্য তার অধিক রোযা রাখার অভ্যাস ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তোমার ইচ্ছা, রাখতে পার, নাও রাখতে পার।

ইবনে আব্বাস রা. থেকে রা. বর্ণিত,

 سَافَرَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم في رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ، ثُم دَعَا بإِناءٍ مِنْ مَاءٍ فَشَرِبَ نَهَاراً لِيرَاهُ النَّاسُ، فَأَفْطَرَ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ، وَكَانَ ابنُ عَباسٍ يَقُولُ: صَامَ رَسُولُ الله في السَّفَرِ وَأَفْطَر، فَمَنْ شَاءَ صَامَ ومَنْ شَاءَ أَفْطَر

রমজানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোযা অবস্থায় সফর করে আসফান নামক স্থানে পৌঁছলেন। অতঃপর পান পাত্র চাইলেন দিনের বেলায় মানুষকে দেখায়ে পান করলেন। রোযা না রাখা অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করলেন। ইবনে আব্বাস রা. বলতেন: সফর অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোযা রেখেছেন এবং ভেঙ্গেছেন, দুটিই করেছেন। অতএব যার ইচ্ছে হবে রোজা রাখবে, যার ইচ্ছে হবে না রোজা রাখবে না।

আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন:

كُنَّا نُسَافِرُ مَعَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَم يَعِبِ الصَّائِمُ على المُفْطِرِ ولا المُفْطِرُ عَلى الصَّائِمِ متفق عليه

আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সফর করছিলাম, রোযাদার এবং ভোজদার কেউ কাউকে কিছু বলেনি।

আবু সাঈদ খুদরী রা. বর্ণনা করেন:

كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم في رَمَضَانَ فَمنَّا الصَّائِمُ ومنَّا المُفطِرُ، فلا يَجِدُ الصَّائمُ على المُفطِرِ، ولا المُفطِرُ على الصَّائِمِ، يَرونَ أنَّ مَنْ وَجَدَ قُوَّةً فصَامَ فَإِنَّ ذَلكَ حَسَنٌ، ويرَونَ أنَّ من وَجَدَ ضَعْفَاً فَأَفْطَرَ فَإِنَّ ذَلكَ حَسَن رواه مسلم

আমরা রমজান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে যুদ্ধ করছিলাম আমাদের মধ্যে কেউ রোযা রেখে ছিল কেই রোযা রাখেনি। রোযাদার বেরোযাদার কেউ কাউকে কিছু বলেনি। তারা মনে করছিল যার শক্তি আছে সে রোযা রাখবে, বরং তার জন্য এটাই ভাল, আর যে দুর্বলতা অনুভব করবে সে রোযা ভঙ্গ করবে, বরং তার জন্য এটাই ভাল।

আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন :

سافَرْنا مَعَ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم إلى مكَّةَ ونَحْنُ صِيامٌ، فنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ رَسُولُ الله : إنَّكُم قدْ دَنَوتُم من عَدُوِّكُم والفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ، فكانَتْ رُخصَةً، فمِنَّا مَنْ صَامَ، ومنَّا مَنْ أَفطَر، ثُم نَزَلْنَا مَنْزِلاً آخَرَ فقَالَ: إِنَّكُم مُصَبِّحُو عدُوِّكُم والفِطرُ أَقْوَى لكم فأفْطِرُوا، وكَانَت عَزْمَةً فَأَفْطَرنَا، ثم قَالَ: لقَد رَأَيْتُنَا نَصُومُ مَعَ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلكَ في السَّفَرِ رواه مسلم.

আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে রোযা অবস্থায় মক্কায় গমণ করলাম, আমরা এক স্থানে অবতরন করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তোমরা তোমাদের শত্রদের কাছাকাছি পৌঁছে গেছ এখন রোজা না রাখা তোমাদের শক্তি বৃদ্ধির কারণ হবে। রাসূলের এ কথা অনুমতি ছিল, আমাদের ভিতর কেউ রোযা রাখল কেউ ভেঙ্গে ফেলল। অতঃপর আর এক স্থানে আমরা অবতরন করলাম, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তোমরা তোমাদের শত্রদের সামনা সামনি হচ্ছো রোযা ভেঙ্গে ফেলা তোমাদের শক্তির কারণ হবে তোমরা রোযা ভেঙ্গে ফেল আর এ নির্দেশ ছিল কঠোর, আমরা রোযা ভেঙ্গে ফেললাম। আবু সাঈদ রা. বলেন, এরপরও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সফরে আমরা রোযা রাখতাম।

হাদীসে থেকে যা শিখলাম :

১. ইসলামের মহানুভবতা এবং ইসলামী শরীয়াতের ছাড় ও বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিতদের জন্য আলাদা সুযোগ।

২. রোযা রাখা না-রাখা মুসাফির ব্যক্তির ইচ্ছাধীন। যা সহজ তাই তার জন্য সুন্নত।

৩. সফর অবস্থায় রোযা রাখতে কষ্ট হলে ভেঙ্গে ফেলাই উত্তম। আর সফর অবস্থায় রোযাতে সমস্যা না হলে, রোযা রাখাই উত্তম।

৪. বিভিন্ন কাজের দরুন, যিনি সর্বদা সফরে থাকেন বা অধিক হারে সফর করেন, যেমন যানবাহনে যারা চাকরী করেন, তারা সফর অবস্থায় ফরজ রোযা রাখবেন, যদি রোযা তাদের জন্য কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর না হয়, নতুবা তারা দায়মুক্ত হবে কিভাবে? বরং তাদের কাজা করার সুযোগ না থাকলে সফর অবস্থায় রোযা রাখা ফরজ। সে ব্যক্তির সফর করাই যার পেশা।
৫. দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির উচিত শরীয়তের দায়িত্ব যথাসাধ্য পালনের চেষ্টা করা।

৬. সফর অবস্থায় রোযা রাখা বা না-রাখার ক্ষেত্রের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত অনুসরণ করাই উত্তম।

৭. হামজাহ আসলামী রা. এর হাদীস দ্বারা এ কথারও প্রমাণ মিলে যে, হালাল হারাম বিষয়ে যে ব্যক্তি জানে তার কাছে প্রশ্ন করে জেনে নেয়া। এটাই সাহাবাদের অভ্যাস ছিল।

৮. মুসলিম শাসক কোন বৈধ কাজের নির্দেশ দিলে তা পালন করা ফরজ। হ্যা, গোনাহের নিদের্শ হলে তার আনুগত্য করা যাবে না।

৯. ইমামের দায়িত্ব হল অধীনদের প্রতি নম্রতা দেখানো এবং  তাদের দুর্বলদের প্রতি লক্ষ রাখা। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকলকে রোজা না রাখার কথা বলেছেন, যাতে শত্রর মোকাবেলায় সকলে শক্তি পায়, যদিও তাদের মধ্যে এমন লোক ছিল রোজার কারণে যাদের ক্ষতি হত না।

১০. যে সব বিধি-বিধানে দুধরেনর সুযোগ সুবিধা রয়েছে, সেখানে একটিতে অবদারিত করে দেয়ার অধিকার কারো নেই। তদ্রুপ মত বিরোধপূর্ণ মাসআলার বিষয়টিও। যার নিকট যে বিষয়টি স্পষ্ট নয় সে তা করতে বাধ্য নয়।

১১. শরীয়তের রুখসত বা কোন আয়াত বা হাদিসের দুর্বোধ্য বিষয়ে কারো সাথে শত্রতা পোষণ করা যাবে না।

১২. এ হাদীসগুলো দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সাহবাদের পরস্পরের মাঝে ভাতৃত্ববোধ ও ভালবাসা বিদ্যমান ছিল, আরো ছিল তাদের দ্বীনের ব্যাপ্যারে গভীর জ্ঞান। যেমন রোজাদার ভোজদার কেউ কাউকে দোষারূপ করেনি। যেহেতু সকলেই শরীতের উপর নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করেছে।

১৩. রমজান মাসে সফর করা বৈধতার প্রমাণ মিলে। যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইুহ ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের জন্য রমজান মাসেই সফর করেছিলেন।

১৪. যে ব্যক্তি আগামীকাল সফর করবে তার জন্য রোজা না রাখার নিয়তে রাত্রিযাপন সঠিক নয়, কেননা নিয়তের দ্বারা মুসাফের হবে না যতক্ষণ না সে সফরে বের হবে।

১৫. সফরের নিয়ত করে ঘরে অবস্থানরত অবস্থায় রোজা ভঙ্গ করা বৈধ নয়। তখনই রোযা তার ইচ্ছাধীন হবে যখন সে সফরের জন্য বের হবে বা বাহনে আরোহন করবে। 

·         বুখারী ১৮৪১ মুসলিম ১১২১ ।
·         বুখারী৪০২৯ মুসলিম ১১১২।
·         বুখারী ১৮৪৫ মুসলিম ১১১৮ ।
·         মুসলিম ১১১৬ তিরমিজী ৭১৩ আহমাদ ১২/৩
·         মুসণিম ১১২০ আবু দাউদ ২৪০৬ আহমাদ ২৮৪/৩
·         আত্ তামহীদ  ৪৮/ ২২
·         আত্ তামহীদ  ৪৯/ ২২।
Collected from Islamhouse.com

O.H.I 
For More Visit:
      http://www.youtube.com/trueohi
      
বই পড়ুনঃ