السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
রাসূলুল্লাহ যেভাবে হজ করেছেন-৫
বাতহা নামক জায়গায় অবস্থান
৩৯- ‘জাবের রা. বলেন, আমরা বের হয়ে বাতহা[1] নামক স্থানে গেলাম। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় এক লোক বলতে লাগল,
عَهْدِي بِأَهْلِي الْيَوْمَ
‘আজকে আমার পরিবারের সাথে আমার সাক্ষাতের পালা।’[2]
৪০- ‘জাবের রা. বলেন, আমরা পরস্পর আলোচনা করতে লাগলাম। অতপর আমরা বললাম, আমরা হাজী হিসেবে বের হয়েছিলাম। হজ ছাড়া আমরা অন্য কিছুর নিয়ত করিনি। এমতাবস্থায় আমাদের কাছে আরাফা দিবস আসতে যখন আর মাত্র চার দিন বাকী।’[3] ‘এক বর্ণনায় এসেছে, পাঁচ রাত্রি, তখন রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যেন আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত হই। অতপর আমরা আরাফার উদ্দেশ্যে (মিনা) গমন করি, অথচ আমাদের পুরুষাঙ্গগুলি সবে মাত্র বীর্যস্খলন করেছে। জাবের রা. এটি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে দেখাচ্ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি যেন জাবের রা. এর কথার সাথে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে দেখানোর ব্যাপারটি দেখতে পাচ্ছি। মোট কথা, তাঁরা বললেন, আমরা কিভাবে তামাত্তু করব অথচ আমরা শুধু হজের নাম উল্লেখ করেছি।’[4]
৪১- জাবের রা. বলেন, ‘বিষয়টি নবী(সা) এর কাছে পৌঁছল। আমরা জানি না এটা কি আসমান থেকে তাঁর নিকট পৌঁছল নাকি মানুষের নিকট থেকে পৌঁছল।’[5]
হজকে উমরায় পরিণত করার জোর তাগিদ দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) এর ভাষণ এবং সাহাবীগণের তাঁর আনুগত্য
৪২- ‘অতপর রাসূলুল্লাহ (সা) দাঁড়িয়ে’[6] ‘মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণাবলি বর্ণনা করে বললেন,’[7]
أَبَاللَّهِ تُعَلِّمُونِي أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ
‘হে মানুষ, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছ?[8] তোমরা জানো, নিশ্চয় আমি তোমাদের চেয়ে আল্লাহকে বেশি ভয় করি, তোমাদের চেয়ে অধিক সত্যবাদী, তোমাদের চেয়ে অধিক সৎকর্মশীল।
افْعَلُوا مَا آمُرُكُمْ بِهِ فَإِنِّى لَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّون وَلَكِنْ لاَ يَحِلُّ مِنِّي حَرَامٌ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ. وَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِى مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقِ الْهَدْىَ فَحِلُّوا
‘আমি তোমাদেরকে যা নির্দেশ করছি তা পালন কর।’[9] আমার সাথে যদি হাদী (যবেহের পশু) না থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম যেরূপ তোমরা হালাল হয়ে যাচ্ছ। কিন্তু যতক্ষণ না হাদী তার নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছবে, [অর্থাৎ দশ তারিখ হাদী যবেহ না হবে] ততক্ষণ আমার পক্ষে হারামকৃত বিষয়াদি হালাল হবে না।’[10] ‘যদি আমি পরে যা জেনেছি পূর্বেই তা জানতাম, তাহলে হাদী সাথে নিয়ে আসতাম না। অতএব, তোমরা হালাল হয়ে যাও।’[11]
৪৩- ‘জাবের রা. বলেন, আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম এবং সুগন্ধি ব্যবহার করলাম। আমরা আমাদের স্বাভাবিক পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করলাম।’[12] ‘আমরা রাসূলুল্লাহ (সা) এর কথা শুনলাম এবং মেনে নিলাম।’[13] ‘অতপর নবী (সা) নিজে এবং যাদের সাথে হাদী ছিল[14] তারা ছাড়া সবাই হালাল হয়ে গেল এবং চুল ছোট করল।’[15]
চলবে...
[1]. বায়তুল্লাহর পূর্বদিকে অবস্থিত।
[2]. মুসনাদে আহমদ।
[3]. মুসনাদে আহমদ।
[4]. বুখারী, মুসলিম।
[5]. মুসলিম।
[6]. মুসলিম, তাহাবী, ইবন মাজা।
[7]. মুসনাদে আহমদ, তাহাবী,
[8]. বুখারী।
[9]. বুখারী, মুসলিম।
[10]. বুখারী।
[11] মুসলিম, ইব্ন মাজা, তাহাবী।
[12]. মুসলিম, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ।
[13]. মুসলিম, তাহাবী।
[14]. যাদের সাথে হাদী ছিল তাঁরা হলেন, রাসূল ﷺ., তালহা রা., আবু বকর রা., উমর রা., যুল-ইয়াসারা রা. ও যুবাইর রা.। সুতরাং তাঁরা কিরান হজ
করেছেন। এরা ছাড়া সবাই তামাত্তু হজ করেছেন (বুখারী, মুসলিম ও মুসনাদে আহমদ)।
[15]. ইবন মাজা, তাহাবী।
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:
বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot. com
[1]. বায়তুল্লাহর পূর্বদিকে অবস্থিত।
[2]. মুসনাদে আহমদ।
[3]. মুসনাদে আহমদ।
[4]. বুখারী, মুসলিম।
[5]. মুসলিম।
[6]. মুসলিম, তাহাবী, ইবন মাজা।
[7]. মুসনাদে আহমদ, তাহাবী,
[8]. বুখারী।
[9]. বুখারী, মুসলিম।
[10]. বুখারী।
[11] মুসলিম, ইব্ন মাজা, তাহাবী।
[12]. মুসলিম, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ।
[13]. মুসলিম, তাহাবী।
[14]. যাদের সাথে হাদী ছিল তাঁরা হলেন, রাসূল ﷺ., তালহা রা., আবু বকর রা., উমর রা., যুল-ইয়াসারা রা. ও যুবাইর রা.। সুতরাং তাঁরা কিরান হজ
করেছেন। এরা ছাড়া সবাই তামাত্তু হজ করেছেন (বুখারী, মুসলিম ও মুসনাদে আহমদ)।
[15]. ইবন মাজা, তাহাবী।
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:
বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot. com