দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
শাউওয়ালের
ছয় রোজার ফজিলত
আবু আইয়ুব আনসারি
রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে অতপর শাওয়ালে
ছয়টি রোজা পালন করবে সে যেন যুগভর রোজা রাখল।
সাওবান রাদিআল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমতুল্য আর
(শাওয়ালের) ছয় রোজা দু’মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা।
অপর রেওয়ায়েতে আছে, যে
ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার
সমতুল্য। (যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ। সূরা আন‘আম)
হাদিস
থেকে যা শিখলাম
এক.
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত জানা গেল যে, যে ব্যক্তি পুরো রমজান সিয়াম পালনের পর এ রোজা
ছয়টি করবে সে যেন সারা জীবন রোজা করল। এ এক বিরাট আমল এবং বিশাল অর্জন।
দুই. বান্দার ওপর
আল্লাহর কত দয়া যে তিনি অল্প আমলের বিনিময়ে অধিক বদলা দিবেন।
তিন.
কল্যণকাজে প্রতিযোগিতা স্বরূপ এ ছয় রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা মুস্তাহাব। যাতে
রোজাগুলো ছুটে না যায়। কোনো ব্যস্ততাই যেন পুণ্য আহরণের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে না
পারে।
চার. এ রোজা করা
যাবে মাসের শুরু-শেষ-মাঝামাঝি সব সময়। ধারাবাহিক ও অধারাবাহিক যেভাবেই করা হোক না কেন
রোজাদার অবশ্যই এর সওয়াবের অধিকারী হবে যদি আল্লাহর কাছে কবুল হয়।
পাঁচ.
যার ওপর রমজানের রোজা কাজা আছে সে আগে তার কাজা করবে তারপর শাওয়ালের রোজায় ব্রতী হবে।
কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রমজানের রোজা রাখবে অর্থাৎ পুরোপুরি। আর যার
ওপর কাজা রয়ে গেছে সে তো রোজা পুরা করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা
আদায় না করে। তাছাড়া ওয়াজিব আদায়ের দায়িত্ব
পালন নফল আদায়ের চেয়ে অধিক গুরুত্ব রাখে।
ছয়. মহান শরিয়ত প্রণেতা
ফরজের আগে-পরে নফল প্রবর্তন করেছেন যেমন ফরজ সালাতের আগে-পরের সুন্নতগুলো এবং রমজানের আগে শাবানের রোজা আর পরে শাওয়ালের
রোজা।
সাত.
এই নফলসমূহ ফরজের ত্র“টিগুলোর ক্ষতি পূরণ করে। কারণ রোজাদার অনর্থক বাক্যালাপ,
কুদৃষ্টি প্রভৃতি কাজ থেকে সম্পূর্ণ বাঁচতে পারে
না যা তার রোজার পুণ্যকে কমিয়ে দেয়।
. মুসলিম : ১১৬৪
. আহমদ : ৫/২৮০, দারেমি : ১৭৫৫
. মুগনি : ৪/৪৪০
লেখক : আলী হাসান তৈয়ব
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit: