السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
সেহরীর শেষ/ফজর নির্ণয়
ফজর সালাতের সময় শুরু হয় হল যখন দ্বিতীয় ভোর শুরু হয়, যা সাদা রেখা যে ডান ও বাম দিগন্তে অনুভূমিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় সূর্য উদয় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
প্রথম ভোরকে মিথ্যা ভোর বলা হয়। যার শুভ্রতা আকাশে স্তম্ভের মত উল্লম্বভাবে উদ্ভাসিত হয়। এটি সত্য ভোরের প্রায় বিশ মিনিট আগে ঘটে এবং মৌসুম অনুযায়ী এটা বাড়ে এবং কমে যায়।
মিথ্যা ভোর
পূর্ব দিগন্তের একটি অস্থায়ী আলো
যা সূর্য উদয়ের পূর্বে প্রকাশমান হয়; যা zodiacal light (রাশিচক্রসংক্রান্ত আলো) নামে
পরিচিত।
কেউ বলে ফার্সি মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানী
ওমর খৈয়ম[1] (জন্ম ১৮ মে ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দ, নিশাপুর, ইরান- মৃত্যু ১১৩১ খ্রিস্টাব্দ, নিশাপুর, ইরান) প্রথম এটি আবিষ্কার করেন এবং কেউ দাবী করেন এটা জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিওভান্নী ডমেনিকো কাসিনী[2]
১৬৮৩ সালে প্রথম এ বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং নিকোলাস ফাটিও দে ডুইলার প্রথম এটি ১৬৮৪ সালে ব্যাখ্যা করেন।
কিন্তু ওমর খৈয়ম কিংবা জিওভান্নী ডমেনিকো কাসিনী কিংবা নিকোলাস ফাটিও দে ডুইলারের অনেক আগে শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) (৫৭০ মক্কা-জুন ৮, ৬৩৩ মদীনা), পরিষ্কারভাবে এই
বিষয়ে আল ফজর আল খাজিব (الفجر الكاذب) বা মিথ্যা ভোর সম্পর্কে বলেছেন।
রাসুলুল্লাহ(সা) বলেছেন,
দুটি ফজর রয়েছে, একটিতে
খাদ্যগ্রহণ হারাম (সেহরি অর্থাৎ সাওম রাখার ক্ষেত্রে) এবং সালাত (ফজরের) জায়েজ
আরেকটিতে সালাত (ফজরের) হারাম এবং খাদ্যগ্রহণ জায়েজ।
(আল হাকিম ও আল বায়হাকী ইবনে আব্বাস থেকে এ হাদীস বর্ণনা
করেছেন; আল-আলবানী এ হাদিসটিকে সাহীহ বলেছেন তার সাহীহ আল-জামী কিতাবে; ৪২৭৯)
দুটি ফজর রয়েছে, একটিতে ফজর হল শিয়ালের লেজের ন্যায়, যা সালাত (ফজরের) আদায়কে না জায়েজ ও খাদ্যগ্রহণকে হালাল করে। আরেকটিতে
ফজর দিগন্তে অনুভূমিক ভাবে প্রসারিত হয় যা সালাতকে (ফজরের) জায়েজ এবং খাদ্যগ্রহণকে
হারাম করে ।
(আল হাকিম ও আল বায়হাকী জাবির থেকে এ হাদীস বর্ণনা
করেছেন; আল-আলবানী এ হাদিসটিকে সাহীহ বলেছেন তার সাহীহ আল-জামী কিতাবে; ৪২৭৮)
দুটি ফজর রয়েছে, একটিকে
বলা হয় শিয়ালের লেজের ন্যায়, যা মিথ্যা ফজর যে খাড়াভাবে
আগমন করে,অনুভূমিকভাবে নয়। আরেকটিতে অনুভূমিকভাবে আগমন
করে, খাড়াভাবে নয়।
(আল-আলবানী এ হাদিসটিকে সাহীহ বলেছেন তার আল সিলসিলাহ আল
সাহীহাহ কিতাবে; ২২০২)
খঃমোঃমুকিতুর রহমান (আদনান)
O.H.I
For More Visit: