Sunday, February 19, 2012

আল কুরআনের ভাষা, অলৌকিকতার অনন্য নিদর্শন


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

আল কুরআনের ভাষাঅলৌকিকতার অনন্য নিদর্শন

আল কুরআন আরবী ভাষায়  হয়েছে। কেন আরবী ভাষায় নাযীল হয়েছে তা অবশ্য ভেবে দেখার বিষয়। আমরা জানি যেযে ভাষা ( যে কোন ভাষার ক্ষেত্রেই এ সত্যটি স্বীকার্য)  কালে পরিবর্তনের নানা ধাপ পেরিয়ে পূর্বের অবকাঠামো অতিক্রম করে যায়এবং একসময় প্রাচীনতা  হারিয়ে হাজির হয় সম্পূর্ণ নতুন রূপে। উর্দু ভাষার ব্যাপারটাইউদাহরণধরা যাক। পাঁচশত বছর পূর্বে  উর্দু ভাষায় রচিত কোন বইয়ের পাঠোদ্ধার করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ইংরেজি সাহিত্যিক চাসর (chaucer)যিনি আজ থেকে পাঁচ শত বছর পূর্বে এ ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করে গেছেনতার রচিত গ্রন্থের পাঠোদ্ধার করতে লন্ডনের কোন প্রাজ্ঞ ইংরেজির প্রফেসরের আশ্রয় নেওয়া ব্যতীত উপায় নেই। অন্যসব ভাষার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। অর্থাৎ কয়েক প্রজন্ম পর একই ভাষায় লেখা বয়ানের পাঠোদ্ধার করা দুরূহদুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

এই বিবেচনায় যদি আল্লাহ তাআলা সর্বশেষ গ্রন্থ আল কুরআন পরিবর্তনশীল কোন ভাষায় নাযীল করতেন তাহলে একবিংশ শতাব্দীর জন মানুষের পক্ষে তা বুঝা দুঃসাধ্য হত নিঃসন্দেহে। প্রয়োজন দেখা দিত নতুন কোন কেতাব নাযীলের প্রচলিত ভাষায়অথবা বিদগ্ধ কোন পণ্ডিত ব্যক্তির অনুবাদের কল্যাণে বুঝতে হত আল্লাহর বাণী। আর যেহেতু অনুবাদকর্ম কখনোই মূলের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রতিরূপ হয় নাআমরাতাইহারিয়ে ফেলতাম আল্লাহর মূল বক্তব্য। এবং সৃষ্টি হত নানা জটিলতা ও বিভ্রান্তিরগোটা ধর্মই বরং হারিয়ে ফেলত তার সজীবতামৌলিকত্ব।
                                                       
পৃথিবীর তাবৎ ভাষার মধ্যে আরবীই একমাত্র ভাষা যা চৌদ্দ শত বছর পূর্বের অবকাঠামো ধরে রেখেছে আশ্চর্যজনকভাবে। আজকের কোন আরবী ব্যক্তিঅথবা যিনি বর্তমানের আরবী ভাষা আয়ত্বে আনতে পেরেছেনধরে নিলাম তিনি চৌদ্দশত বছর পূর্বের কোন আরবী ব্যক্তির সাথে কথা বললেনএমতাবস্থায় উভয়েই একে অন্যের কথা পুরোপুরিই বুঝতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কোন মধ্যস্থতাকারীর আদৌ প্রয়োজন হবে না।

আরবী ভাষার এই সজীবতাপ্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মৌল কাঠামোশব্দভাণ্ডারও ব্যবহার রীতি অভিন্নভাবে ধরে রাখার  যোগ্যতা-বৈশিষ্ট্য এ ভাষায় আল্লাহর শেষ বাণী নাযীল হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শেষ নবী ও রাসূল। আল্লাহর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার পরে আর কোন নবী রাসূলের আগমন ঘটবে না। আকাশ থেকে আর কোন বাণী পৃথিবী বাসীকে কখনো খেতাব করবে না। সে হিসেবে আল্লাহর সর্বশেষ বাণী ধারণ ও প্রজন্মান্তরে তা বোধগম্য আকারে থাকার প্রয়োজনে এমন এক ভাষা বেছে নেওয়ার আবশ্যকতা ছিল যা চলমান থাকবে অপরিবর্তনীয়ভাবে। আর আরবীই হল সে ভাষা যা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এখনও রয়েছে প্রাচীন ধারায় জীবন্তপ্রাণময়। থেকে যাবে চিরকাল।
মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক


  be Organized by Holy Islam 

O.H.I 

For More Visit: