Tuesday, November 15, 2011

শিশুর অধিকার


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা

শিশুর অধিকার

১। বেঁচে থাকার অধিকার
ইসলামে শিশু হত্যা নিষিদ্ধ। তা দরিদ্রতার ভয়পারিবারিক সুনাম-সম্মান রক্ষা করা অথবা অন্য যে কোন কারণেই হোক না কেন। জাহেলিয়াত যুগে আরব দেশে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া হত। এ ধরণের অমানবিক প্রথাকে ইসলামে কঠোরভাবে নিন্দা এবং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন: 
দারিদ্রতার কারণে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না। আমি তোমাদেরকে এবং তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি।’’[1] 
অন্যত্র বলা হয়েছে: 
দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমি রিযিক দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ।[2] 
যে সন্তান প্রসবিত হয়নিদুনিয়ার আলো দেখেনি মাতৃগর্ভে থাকা কালেও তার বেঁচে থাকার অধিকার আছে।  ভ্রুণে জীবন এসে গেলে তাকে হত্যা করা যাবে না। কারো কারো মতে ৪০ দিনে জীবন আসে  কারো কারো মতে ৪ মাসে জীবন এসে গেলে গর্ভপাত সম্পূর্ণ হারাম। কোন কোন ফকীহ বা আইনবিদের মতে যৌনমিলনের ফলে ভ্রুণ সৃষ্টি হলে গর্ভপাত হারাম।[3]
২। সুস্থতার অধিকার
প্রত্যেকটি মানব শিশুরই সুস্থ শরীর নিয়ে জন্মগ্রহণ করার মানবিক অধিকার রয়েছে। কথা খুবই স্বাভাবিক যেএকজন পুষ্টিহীন মা কখনই সুস্থ শিশুর গর্বিত মা হতে পারে না। এ জন্যে মায়ের পুষ্টির ব্যাপারে অতিরিক্ত যত্ম নেয়া প্রয়োজন। তাছাড়া গর্ভস্থিত ভ্রুণের ঠিকমত গঠন ও বৃদ্ধির জন্য মাকে সুষম ও বাড়তি খাবার দিতে হবে। এ বাড়তি খাবার মায়ের স্বাভাবিক খাদ্য হতে ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালোরী বেশী যোগাবার উপযোগী হবে। নিম্নে একজন সাধারণ কর্মক্ষম স্বাভাবিক মহিলা ও গর্ভবতি মায়ের কতখানি খাদ্য গ্রহণ করা উচিত তার একটি তালিকা দেয়া হল:
খাদ্য দ্রব্যের নাম
স্বাভাবিক মহিলা
গর্ভবতী মহিলা
চাল/ডাল
৩৫০ গ্রাম
৩৭৫ গ্রাম
ডাল
৪০   ’’
৬০’’
মাছ/গোশত/ডিম
৬০ ’’
৬০’’
আলু/মিষ্টিআলু
৬০ ’’
৬২’’
যেকোন শাক
১৫০ ’’
১৮০’’
যে কোন সব্জী
৯০ ’’
৯০’’
চিনি/গুড়
---------
৩০’’
ফল
১টা ৫৫ ’’
১টা/ ৫৫’’
তৈল/ঘি
৪০  ’’
৫০’’
খাদ্য শক্তি
২১০০ কিঃ ক্যাঃ
২৩৬০ কিঃ ক্যাঃ প্রায়[4]
তাছাড়া রোগগ্রস্ত পিতা-মাতার সন্তান উত্তরাধিকার সূত্রে রোগাক্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক অসুস্থ হওয়া পিতা-মাতার জন্য কোন অপরাধ নয়। কিন্তু অসুস্থতার সময়ে যৌনমিলনে অনেক সময় জটিলতার সৃষ্টি করে। তাছাড়া অবৈধ ও মাত্রাতিরিক্ত যৌনমিলনের ফলেও কতকগুলো রোগে শিশু জন্ম থেকে আক্রান্ত হয়। যৌন আক্রান্ত পিতা-মাতার সন্তান পঙ্গু এবং অন্ধ হলে জন্ম নিতে পারে। এ সম্পর্কে হাদীসের বাণী: কোথায় তোমার বীর্ষ স্থাপন করবে তা চিন্তা-ভাবনা করে স্থির করে নাও। বংশধারা যেন সঠিক হয়।[5] রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়ের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে জন্মগত অক্ষমতা সৃষ্টি হতে পারে। তাদের দেহ ক্ষীর্ণকায় ও মেধা নিম্নমানের হতে  পারে। এতদ্ব্যতীত যে সমস্ত রোগ  পিতা-মাতার থেকে সন্তানের মধ্যে সংক্রমিত হয় সে সম্পর্কে সতর্কতা অবল্বন করা খুবই জরুরী।[6]
[1] . আল-কুরআন৬: ১৫১।
[2] . আল-কুরআন১৭:৩১।
[3] . এ.বি. রফিক আহমাদ ও মুহাম্মদ মুসাইসলামে শিশু পরিচর্যা (ঢাকা: ইফাখৃ. ১৯৮৭)পৃ. ৫২।
[4] অধ্যাপক মাওলানা মোঃ তমিজ উদ্দিনআবু উবাইদ মোঃ মহসিন মাওলানা কাজী আবু হুরায়রাঃ পরিবার কল্যাণইমাম প্রশিক্ষন একাডেমীইসলামিক ফাউন্ডেশনবাংলাদেশ খৃ. ১৯৯৪ পৃ. ৮৭।
[5] . সহীহ বুখারীপৃ. ৭৬০। 
[6] . আবদেল রহীম উমরানইসলামী ঐতিহ্য পরিবার পরিকল্পনা (অনু. শামছুল আলমঢাকা-১৯৯৫)পৃ. ৭৫। 

be Organized by Holy Islam 
O.H.I 
For More Visit: