Friday, August 19, 2011

রমাদান ম্যানুয়েল-১৮: রোযা ফরযের ধাপসমূহ


السلام عليكم


দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


রমাদান ম্যানুয়েল-১৮রোযা ফরযের ধাপসমূহ

রোযার সূচনাকালে ক্রমান্বয়ে রোযা ফরয হওয়ার অনেক তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। কোন ব্যক্তি পুরোদিন রোযা পালন করলকারণ বশত সূর্যাস্তের পর ইফতার না করে ঘুমিয়ে পড়লতা হলে তার জন্য ঐ রাত এবং পরবর্তী পুরোদিন পানাহারস্ত্রীগমন ছিল হারাম। অথবা সূর্যাস্তের পর শুধু ইফতার গ্রহণ করে ঘুমিয়ে পড়লতাহলেও তার জন্য পানাহারস্ত্রীগমন ছিল হারাম। 

অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর কোন কারণে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তার জন্য সকল প্রকার পানাহার ঐ রাতে এবং পরবর্তী দিনের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত ছিল নিষিদ্ধ। কাইস বিন সিরমাতাল আনসারি রাদিআল্লাহু আনহুপুরোদিন রোযা পালন শেষেইফতার গ্রহণের জন্য গৃহে প্রবেশ করে স্ত্রীর কাছে খাবার চাইলে উত্তরে স্ত্রী বলল: খাবার নেই তবে আমি ব্যবস্থা করছি। এরি মধ্যে স্ত্রী খাবার নিয়ে এসে দেখে সারা দিনের ক্লান্ত সাহাবী ঘুমিয়ে গেলেন। স্ত্রী বলল: আপনার আর খাওয়া হলনা।

ক্লান্ত সাহাবি পুরোরাত এবং পরবর্তী দিনের দুপুর শেষে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। নবীজী সা.  কে বিষয়টি অবগত করানো হল। অত:পর আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমারা তাদের পরিচ্ছদদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যেতোমরা আত্মপ্রতারণা করছিলেসুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অত:পর তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে  সহবাস কর এবং যাকিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেনতা আহরণ কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিস্কার দেখা যায়।’

এতে করে সাহাবায়ে কিরাম খুব খুশি হলেন।  

রোযা আমরা যে পদ্ধতিতে পালন করিএ নিয়ম  রোযার সূচনাকালে ছিল না। মদিনায় যাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি মাসের তিন দিন এবং মহররামের দশ তারিখ আশুরা দিবসে রোযা পালন করতেন।

এর পর আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করলেন

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছেযেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূববর্তী লোকদের উপরযেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। গণনার কয়েকটি দিনের জন্য। অত:পর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবেতার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোযা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে’

ফলে কেউ রোযা পালন করত আবার যার ইচ্ছে হতো একজন মিসকিনকে খাদ্যদান করত এতে করে তার দায়িত্ব আদায় হয়ে যেতো।

এরপর আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেছেন

 রমযান মাসই হল সে মাসযাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআনযা মানুষের হিদায়েত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।

কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এমাসটি পাবেসে এ মাসের রোযা রাখবে..........,

এ আয়াতের ভিত্তিতে রমযান মাসের রোযামুকীম সুস্থ ব্যক্তির উপর ফরয করা হয়েছে। এবং অসুস্থ ও মুসাফির ব্যক্তিকে পরে আদায়ের অবকাশ দেওয়া হয়েছে । অতিবৃদ্ধ যিনি রোযা পালনে অক্ষম শুধু তার জন্য রোযার পরিবর্তে খানা খাওয়ানোর নিয়ম স্থির রাখা হয়েছে।

এ আলোচনা থেকে আমরা যা শিখলাম :

১. ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে রোযার আজকের এ চুড়ান্ত রূপ আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর মুমিন বান্দার উপর বিশেষ অনুগ্রহ। কারণ ইতি পূর্বেকার রোযা পালন ছিল কষ্টসাধ্য যা আমরা কাইস বিন সাবরামার ঘটনা থেকে জানতে পারি। এ জন্য আল্লাহর শোকর আদায় করা।

২. স্বামীর খেদমত করা এক জন ভাল স্ত্রীর বৈশিষ্ট্য এবং একান্ত হিতাকাঙ্খি হওয়ার আলামত।

৩. এতে সাহাবাদের ধর্ম পরায়নতাআল্লাহর আদেশের কাছে তাদের নতি স্বীকার করাতাঁর বিরোধীতাকে ভয় করা এবং প্রকাশ্য অপ্রকাশ্যে আল্লাহকে স্মরণ করার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

৪. আল্লাহর পক্ষ থেকে রুখসত তথা শিথিল বিধান পেয়ে খুশি প্রকাশ করার বৈধতা প্রমাণিত হয়। আবশ্যক বিধান ও শিথিল বিধান উভয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। তিনি উভয় বিধানদানকে পছন্দ করেন। শিথিল বিধান আবশ্যক বিধান গ্রহণের পরিপন্থি নয়।

৫. আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার উপর রহমত যেতিনি তাদের এমন এক বিধান দান করেছেন যা তাদের জন্য উপকারীআত্মপরিশুদ্ধ কারী।

৬. আল্লাহ অনভ্যস্ত বিষয়ে বিধান দানে বিভিন্ন ধাপ গ্রহণ করেন যেমন নামায তিন ধাপে ফরয করেছেন রোযাও তেমনি তিন ধাপে ফরয করেছেন। এমনি ভাবে মদ নিষিদ্ধ করণ বিধান।

৭. রোযার ফরয বিধান ক্রমান্বয় এসেছেকারণ ইসলামের সূচনা কালে মানুষ রোযায় অভ্যস্ত ছিলেন না।

৮. রোযার ফরয তিন ধাপে হয়েছে :
ক. প্রতিমাসে তিন দিন এবং আশুরার রোযা
খ. রমযানের রোযা পালন অথবা খানা খাওয়ানোউভয়ের যে কোন একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল।
গ. রমযানের রোযা সুস্থ ব্যক্তির উপর ফরয এবং রোযার পরিবর্তে খাদ্য দানের বিধান বৃদ্ধব্যক্তির জন্য যে রোযা পালনে সক্ষম নয় এতে অন্তর্ভূক্ত হবে ঐ রোগী ও যে আরোগ্যের আশা করে না।

·         বুখারি১৮১৬আবুদাউদ ২৩১৪ তিরমিযি,২৯৬৮।
·         বুখারি ১৮১৬। 
·         সূরা বাকারা . ১৮৩।
·        আবুদাউদ৫০৭আহমদ ২৪৬/৫ তিবরানি ২৭০ হাকেম৩০১/২ প্রভৃতি হাদিস গ্রন্থে আলোচ্য বিষয়টি বিশদভাবে এসেছে।



সাওম/রোজা সংক্রান্ত বই
ক্রম
বই
লেখক
আব্দুর রহমান বিন আব্দুল আযীয আস-সুদাইস
সিয়াম রাসুলুল্লাহর(স) রোযা
ডাঃ জাকির নায়েক
শায়খ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
সংকলনঃ মুহাম্মদ নাসীল শাহরুখ
আলী হাসান তৈয়ব
অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলাম
ফয়সাল বিন আলী আল বা'দানী
আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন
আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান
১১
জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
সংকলনঃ আবুল কালাম আজাদ

O.H.I 
For More Visit:
      http://www.youtube.com/trueohi
      


বই পড়ুনঃ 

রামাদান ম্যানুয়েল-১৭: জান্নাতে রোযার একটি দরজা আছে


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


রামাদান ম্যানুয়েল-১৭জান্নাতে রোযার একটি দরজা আছে

সাহাল বিন সাদ থেকে বর্ণিতরাসূল সা. বলেন :

في الجنَّةِ ثَمَانِيَةُ أبْوَابٍ فيهَا بَابٌ يُسَمَّي الرَّيَّانُ لا يَدْخُلُهُ إِلاّ الصَّائِمُونَ رَوَاهُ الشَّيخَان

জান্নাতে আটটি দরজা আছে তার মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান” যে দরজা দিয়ে রোজাদার ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করবে না।
বুখারীর বর্ণনার ভাষা এমন:

إِنَّ في الجَنَّةِ بَاباً يُقَالُ لهُ الرَّيَّانُ يَدخُلُ منهُ الصَّائِمونَ يَوْمَ القِيامَةِ لا يَدخُلُ منْهُ أحَدٌ غَيرُهُمْ، يقَالُأَيْنَ الصَّائِمونَ؟ فَيَقُومُونَ، لا يَدخُلُ منْهُ أَحَدٌ غَيرُهُم، فَإِذا دَخَلُوا أُغْلِقَ فَلَم يَدخُلْ مِنْهُ أَحَدٌগ্ধ

জান্নাতে একটি দরজা আছে যাকে রাইয়ান বলা হয় কেয়ামত দিবসে সেখান দিয়ে রোজাদার প্রবেশ করবেরোজাদার ছাড়া আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করবে না। বলা হবে: রোজাদার কোথায়তখন তারা দাঁড়াবেতারা ছাড়া আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করবে নাযখন প্রবেশ করবে দরজা বন্দ করে দেয়া হবে আর কেউ সেখানে প্রবেশ করবে না।

তিরমিজির বর্ণনার ভাষা এমন:

إِنَّ في الجنَّةِ لبَاباً يُدعَى الرَّيَّانُ، يُدعَى لهُ الصَّائِمُونَ، فَمَنْ كَانَ مِنَ الصَّائِمِينَ دَخَلَهُ، وَمَنْ دَخَلَهُ لم يَظْمَأْ أَبَداً

জান্নাতে একটি দরজা আছে যাকে রাইয়ান বলা হয়সেখানে রোজাদারকে ডাকা হবেযিনি রোজাদার হবেন তিনি প্রবেশ করবেনআর যে সেখানে প্রবেশ করবে সে কখনও পিপাষার্ত হবে না।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিতরাসূল সা. বলেন :

مَنْ أَنفَقَ زَوجَينِ في سَبيلِ الله نُودِيَ مِنْ أبْوابِ الجَنَّةِيا عَبدَاللههَذَا خَيْرٌ، فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلاةِ، ومَنْ كَانَ منْ أهْلِ الجِهادِ دُعِيَ من بَابِ الجِهادِ، ومَنْ كَانَ مِنْ أهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ من بَابِ الرَّيَّانِ، ومَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ من بَابِ الصَّدَقَةِ، فقَالَ أَبو بَكْرঃ : بِأَبي وأُمِّي يا رَسُولَ الله، مَا عَلى مَن دُعِيَ من تلكَ الأَبوَابِ مِنْ ضَرُورَةٍ فَهَلْ يُدْعَى أَحَدٌ من تِلكَ الأَبوَابِ كلِّها؟ قَالَنَعَم، وأَرجُو أن تَكُونَ مِنهُمগ্ধ رواه الشيخان

আবু হুরায়রা রা. রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেনতিনি বলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় দুটি জিনিস খরচ করবে তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ দিয়ে ডাকা হবে এই বলে: হে আব্দুল্লাহ ইহা তোমার জন্য কল্যাণকর। যে নামাযী হবে তাকে নামাযের দরজা দিয়ে ডাকা হবে এবং যে জিহাদকারী হবে তাকে জিহাদের দরজা দিয়ে ডাকা হবে আর যে রোজাদার হবে তাকে রাইয়ান দরজা দিয়ে ডাকা হবে আর যে দানশীল হবে তাকে দানের দরজা দিয়ে ডাকা হবে। আবু বকর রা. বললেনহে আল্লাহর রাসূল আমার মাথা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গিত হোক তার কি হবে যাকে অবশ্যই এই সমস্ত দরজাসমূহ থেকে এক যোগে ডাকা হবেকাকেও কি এই সমস্ত দরজা থেকে এক যগে ডাকা হবেআল্লাহর রাসূল বললেন: হ্যাঁ আর আমার প্রত্যাশা তুমি তাদের মধ্য থেকে হবে।

বুখারী ও মুসলিমের শব্দ এমন এসেছে:
دُعَاه خَزَنَةُ الجَنَّةِ، كُلُّ خَزَنَةِ بَابٍ أَيْفُلْ، هَلُمَّ

জান্নাতের প্রহরীরা এইভাবে ডাকবে প্রত্যেক দরজার প্রহরী বলবে: আস।

ইমাম আহমাদ এমনভাবে বর্ণনা করেছেন:

لِكلِّ أَهْلِ عَمَلٍ بَابٌ مِنْ أَبْوَابِ الجَنَّةِ يُدْعَونَ بذَلكَ العَمَل، ولأَهْلِ الصَّيامِ بَابٌ يُدْعَوْنَ مِنهُ، يُقَالُ لَهُالرَّيَّان، فقَالَ أَبو بَكريا رَسُولَ الله، هَلْ أَحَدٌ يُدْعَى مِنْ تِلْكَ الأَبْوابِ كُلِّها؟ قَالَنَعَم، وأَرجُو أنْ تَكُونَ مِنهُم يا أَبا بَكْر

প্রত্যেক আমলকারীর জন্য জান্নাতের একটি একটি দরজা থাকবে যে দরজা থেকে তার আমল অনুযায়ী ডাকা হবেরোজাদারের জন্য দরজা থাকবে সেখান থেকে তাকে ডাকা হবে যে দরজার নাম হল রাইয়ান। আবু বকর রা. বললেনহে আল্লাহর রাসূল কাউকে কি সমস্ত দরজা থেকে ডাকা হবেতিনি বললেন: হ্যাঁ আর আমার আসা তুমি তাদের মধ্য থেকে হবে হে আব বকর?
আবু বকর রা. যখন প্রশ্ন করলেন নবী সা. কে তার উদ্দেশ্য ছিল যাকে জান্নাতের কোন একটি দরজা দিয়ে ডাকা হবে তাই তার জন্য যথেষ্ট হবে সব দরজা দিয়ে না ডাকলেও তার কোন অসুবিদধা হবে না। কেননাজান্নাকে প্রবেশের উদ্দেশ্যত তার হাসিল হয়ে যাবে এতত সত্যেও কি কাওকে সমস্ত দরজা দিয়ে ডাকা হবেনবী সা. তার উত্তরে হ্যাঁ বললেন।

হাদিসগুলো থেকে যা শিখলাম :

প্রথমতঃ রোজার মর্যাদার কারণেই জান্নাতের আটটি দরজা থেকে একটি রোজাদারের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ রাইয়ান জান্নাতের একটি দরজার নাম যা الرِّيِّ শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ পান করান রোজাদার নিজেকে পান করা থেকে বিরত রেখেছিল যার প্রয়োজন মানুষের সব চেয়ে বেশিসে কাজের প্রতিদানও পরকালে পান করানোর মাধ্যমে হওয়াই যতার্থ যে পানের মাধ্যমে কখনও পিপাশিত হবে না।

তৃতীয়তঃ হাদীসে যে সমস্ত ইবাদতের জান্নাতে দরজার কথা উল্লেখ হয়েছে নামাযজিহাদরোজাদান প্রত্যেকটি দরজা নির্দিষ্ট থাকবে এই সমস্ত ইবাদতকারীদের জন্য। এখানে উদ্দেশ্য হল অধিক হারে যে যে ইবাদতটি করবে তার জন্য সেই দরজাটি নির্দিষ্ট হবে।

চতুর্থতঃ  জান্নাতের দরজাগুলির জন্য প্রহরি ফেরেশতা আছে প্রত্যেক আমলকারীকে নির্দিষ্ট ফেরেশতা নির্দিষ্ট দরজা দিয়ে ডাকবেইহা এই প্রমাণ বহন করে যেফেরেশতারা আদম সন্তানের নেক আমলকে পছন্দ করে এবং তাতে খুশি হয়।

পঞ্চমতঃ আবু বকর রা. মর্যাদা তাকে সমস্ত দরজা দিয়ে ডাকা হবে কেননা তিনি সমস্ত আমলগুলি করেন আর রাসূলের আশা প্রকাশوَأَرجُو أنْ تَكُونَ مِنهُم এটা অবশ্যই ঘটবে ইবনে আব্বাস রা. এর হাদীসে এসেছে যা দ্বারা বুঝা যায় যে আবু বকর রা. কে জান্নাতের প্রত্যেক দরজা ও রুম থেকে ডাকা হবে।

ষষ্টতঃ  হাদীসে এ কথারও ইঙ্গিত রয়েছে যে ঐ সমস্ত দরজা দিয়ে অল্প সংখাক লোকদেরকে ডাকা হবে।

সপ্তমতঃ হাদীসে এ কথারও ইঙ্গিত রয়েছে যে সমস্ত আমলের কারণে ডাকা হবে তা নফল আমলফরজ আমল নয়। কেননা ফরজ আমলকারীর সংখা তো অনেক পাওয়া যাবে কিন্তু ফরজ আদায়ের পর নফলও গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে এমন লোকের সংখা কম হবে।

অষ্টমতঃ মানুষের সামনে তার প্রসংশা বৈধ যদি সে এর দ্বারা ধোকায় না পড়ে।

নবমতঃ যে ব্যক্তি এই সমস্ত ভাল কাজগুলি সব সময় করবে জান্নাতের দরজাগুলি তাকে আহবান করা এটা তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনকিন্তু সে জান্নাতের একটি দরজা দিয়েই প্রবেশ করবে।
দশমতঃ ভাল কাজ একজন মানুষের জন্য সবগুলি করা সাধারণত কঠিন। যদি কেউ কিছু করতে পারে তবে কিছু বাদও পড়ে যায়। খুব অল্প সংখক লোক সমস্ত কাজ করতে পারে আবু বকর রা. সেই অল্পদের মধ্য থেকে।

একাদশতমতঃ যে ব্যক্তি যে কাজে বেশি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তাকে সেই কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে যেমন রাসূল সা. এর কথা فَمَن كَانَ مِنْ أَهلِ الصَّلاةِ অর্থাৎ যে অধিক পরিমানে নামায পড়বে তাকে নামাযের সাথেই সম্পৃক্ত করা হবে। তা ছাড়াতো সমস্ত মুসলমানই কম বেশি নামাযী।
·         বুখারী ৩০৮৪ মুসলিম ১১৫৫
·         বুখারী ১৭৯৮।
·         তিরমিজি ৭৬৫।
·         বুখারী ১৭৯৮ মুসলিম ১০২৭ ।
·         সহিহ ইবনে হাব্বান ৬৭৬৭।
·         ফতহুল বারী ২৮/৭।
·         পূর্ব সূত্র ২৯-২৮/৭




শিশুদের জন্য সিয়াম সম্পর্কিত কার্টুন দেখুনঃ
                   http://www.youtube.com/watch?v=nspZK6R5EPw




সাওম/রোজা সংক্রান্ত বই
ক্রম
বই
লেখক
আব্দুর রহমান বিন আব্দুল আযীয আস-সুদাইস
সিয়াম রাসুলুল্লাহর(স) রোযা
ডাঃ জাকির নায়েক
শায়খ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
সংকলনঃ মুহাম্মদ নাসীল শাহরুখ
আলী হাসান তৈয়ব
অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলাম
ফয়সাল বিন আলী আল বা'দানী
আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন
আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান
১১
জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
সংকলনঃ আবুল কালাম আজাদ

O.H.I 
For More Visit:
      http://www.youtube.com/trueohi
      


বই পড়ুনঃ