السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
ভাষার
প্রয়োজনীয়তা
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا
عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
আমি একে আরবী ভাষায় কুরআন বানিয়ে নাযিল করেছি, যাতে তোমরা (আরববাসীরা) একে ভালোভাবে বুঝতে পারো৷
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ
إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ۖ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن
يَشَاءُ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
আমি নিজের বাণী
পৌছাবার জন্য যখনই কোন রসূল পাঠিয়েছি, সে তার নিজের সম্প্রদায়েরই
ভাষায় বাণী পৌছিয়েছে, যাতে সে তাদেরকে খুব ভালো করে পরিষ্কারভাবে
বুঝাতে পারে৷ তারপর আল্লাহ যাকে চান তাকে
পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হেদায়াত দান করেন৷ তিনি প্রবল
পরাক্রান্ত ও জ্ঞানী৷
وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ
وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّلْعَالِمِينَ
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর
সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা
ও বর্ণের পার্থক্য৷ অবশ্যই তাঁর মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানবানদের জন্য৷
قُرْآنًا عَرَبِيًّا غَيْرَ ذِي
عِوَجٍ لَّعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ
আরবী ভাষার কুরআন যাতে কোন বক্রতা
নেই৷ যাতে তারা মন্দ
পরিণাম থেকে রক্ষা পায়
كِتَابٌ فُصِّلَتْ آيَاتُهُ قُرْآنًا
عَرَبِيًّا لِّقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
এটি এমন এক গ্রন্থ
যার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে৷ আরবী ভাষার কুরআন৷ সেই সব লোকদের জন্য
যারা জ্ঞানের অধিকারী,
وَلَوْ
جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا أَعْجَمِيًّا لَّقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ آيَاتُهُ ۖ
أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ ۖ
وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى ۚ
أُولَٰئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ
আমি
যদি একে আজমী কুরআন বানিয়ে পাঠাতাম তাহলে এসব লোক বলতো, এর আয়াসমূহ সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করা হয়নি কেন ? কি আশ্চর্য কথা, আজমী বাণীর শ্রোতা আরবী ভাষাভাষী এদের বলো, এ
কুরআন মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রোগ মুক্তি বটে৷ কিন্তু যারা ঈমান আনে না এটা তাদের জন্য পর্দা ও চোখের আবরণ৷ তাদের অবস্থা
হচ্ছে এমন যেন দূর থেকে
তাদেরকে ডাকা হচ্ছে৷
وَكَذَٰلِكَ
أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَىٰ وَمَنْ حَوْلَهَا
وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ
فِي السَّعِيرِ
হে
নবী, এভাবেই আমি এই
আরবী কুরআন অহী করে তোমার কাছে পাঠিয়েছি যাতে
তুমি জনপদসমূহের কেন্দ্র (মক্কানগরী) ও তার আশেপাশের অধিবাসীদের সতর্ক করে দাও এবং
একত্রিত হওয়ার দিন সম্পর্কে ভয় দেখাও যার
আগমনে কোন সন্দেহ নেই৷ এক দলকে জান্নাতে যেতে হবে এবং অপর দলকে যেতে হবে দোযখে৷
إِنَّا
جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
আমি
একে আরবী ভাষার কুরআন বানিয়েছি যাতে তোমরা তা বুঝতে পারো৷
وَمِن
قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَىٰ إِمَامًا وَرَحْمَةً ۚ وَهَٰذَا كِتَابٌ مُّصَدِّقٌ
لِّسَانًا عَرَبِيًّا لِّيُنذِرَ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَبُشْرَىٰ لِلْمُحْسِنِينَ
অথচ
এর পূর্বে মূসার কিতাব পথ-প্রদর্শক
ও রহমত হয়ে এসেছিলো৷ আর এ কিতাবে তার সত্যায়নকারী, আরবী ভাষায় এসেছে যাতে জালেমদের সাবধান করে দেয়এবং সৎ আচরণ
গ্রহণ-কারীদের সুসংবাদ দান করে৷
যায়েদ ইবনে সাবিত(রা:) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদীদের
কিতাবী ভাষা শিক্ষার জন্য আমাকে আদেশ করেন এবং বলেন:
আল্লাহর কসম! আমার পত্রাদির ব্যাপারে আমি ইহুদীদের
উপর নিশ্চিন্ত হতে পারি না।
তিনি (রাবী) বলেন, অত:পর অর্ধমাস (১৫ দিন) যেতে না যেতেই আমি সুরিয়ানী ভাষা আয়ত্ব করে ফেললাম।
এ ভাষা শিক্ষার পর থেকে তিনি ইহুদীদের কাছে কোন কিছু লিখতে চাইলে আমিই তা লিখে
দিতাম। আর তারা যদি তার কাছে কোন চিঠি পাঠাতো, আমিই তা তাকে পড়ে শুনাতাম।
(আত-তিরমিযী:৫ম
খন্ড; অনুচ্ছেদ-২২
হাদীস নং-২৬৫২)