السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
সম্পদে নারীর উত্তরাধিকার : ইসলামই
দিয়েছে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা
·
অনেক
অবস্থায় নারী পুরুষের চেয়ে বেশী পায়। যেমন,
১.
স্বামী থাকা অবস্থায় একমাত্র কন্যা পাবে অর্ধেক আর স্বামী পাবে এক চতুর্থাংশ ।
২. দুই
কন্যা স্বামীর সাথে হলে। দুই মেয়ে পাবে দুই
তৃতীয়াংশ আর স্বামী এক চতুর্থাংশ।
৩.
কন্যা মৃতের একাধিক ভাইয়ের সাথে হলে বেশী পাবে।
৪. যদি
মৃত ব্যক্তি স্বামী, বাবা, মা ও
দুই কন্যা রেখে যায় তবে দুই মেয়ে দুই
তৃতীয়াংশ সম্পদ পাবে। কিন্তু ঠিক একই
অবস্থায় যদি মেয়ের পরিবর্তে দুই ছেলে
থাকত তবে তারা নিশ্চিত ভাবে দুই মেয়ের তুলনায় কম পেত। কেননা ছেলের অংশ হলো
এখানে অন্যান্য ওয়ারিসদেরকে তাদের নির্ধারিত অংশ দেওয়ার পর যা
বাকী থাকে। সুতরাং স্বামী পাবে এক চতুর্থাংশ,
বাবা ও মা উভয়ে পাবে এক ষষ্ঠাংশ করে এবং বাকী অংশ পাবে দুই ছেলে যা দুই তৃতীয়াংশ তো
নয়ই বরং অর্ধেকের চেয়েও কম।
৫. ঠিক
একই ধরণের আরেকটি অবস্থা দুই সহোদর বোনের ক্ষেত্রে। যদি ওয়ারিসদের মধ্যে
স্বামী, দুই সহোদর বোন এবং মা থাকে তখন দুই বোন দুই তৃতীয়াংশ সম্পদ পায়। কিন্তু ঠিক একই
অবস্থায় যদি দুই বোনের জায়গায় দুই ভাই থাকত তখন ঐ দুই ভাই মিলে এক তৃতীয়াংশের বেশি পেত না।
৬.
তেমনি ভাবে একই অবস্থায় বৈমাত্রেয় দুই বোন বৈমাত্রেয় দুই ভাইয়ের চেয়ে বেশী পায়।
৭. অনুরূপভাবে
যদি ওয়ারিসদের মধ্যে স্বামী, বাবা, মা ও
মেয়ে থাকে তবে মেয়ে মূল সম্পদের অর্ধেক
পাবে। কিন্তু ঠিক একই
অবস্থায় ছেলে থাকলে পেত তার চেয়ে কম। যেহেতু তার প্রাপ্যাংশ
হলো অংশীদারদেরকে দেওয়ার পর অবশিষ্টাংশ।
৮.
ওয়ারিস যদি হয় স্বামী, মা ও এক সহোদর বোন তখন ঐ সহোদর বোন অর্ধেক সম্পদ পাবে যা
তার স্থানে সহোদর ভাই হলে পেত না।
৯.
ওয়ারিস যদি হয় স্ত্রী, মা,
বৈপিত্রেয় দুই বোন এবং দুই সহোদর ভাই তখন
দূরের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও বৈপিত্রেয় দুই বোন দুই সহোদরের
চেয়ে বেশী পাবে। যেহেতু বৈপিত্রেয়
বোনদ্বয় পাবে এক তৃতীয়াংশ, আর দুই সহোদর পাবে অবশিষ্টাংশ যা এক তৃতীয়াংশের চেয়েও কম।
১০. যদি
স্বামী, বৈপিত্রেয় বোন ও দুই সহোদর ভাই থাকে সে ক্ষেত্রে
বৈপিত্রেয় বোন এক তৃতীয়াংশ পাবে। অথচ এই দুই সহোদর অবশিষ্টাংশ থেকে যা পাবে তা ঐ বোনের এক চতুর্থাংশেরও কম।
১১.
ওয়ারিস যদি হয় বাবা, মা ও স্বামী এ
ক্ষেত্রে ইবনে আব্বাস (রা) এর মত অনুসারে
মা পাবে এক তৃতীয়াংশ, আর বাবা পাবে এক ষষ্ঠাংশ অর্থাৎ মায়ের অর্ধেক।
১২.
স্বামী, মা, বৈপিত্রেয়
বোন ও দুই সহোদর ভাই ওয়ারিস হলে এক্ষেত্রে ঐ বোন দূর সম্পর্কীয় আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও সহোদর ভাইদ্বয়ের
দ্বিগুণ পাবে।
·
অনেক
সময় নারী মিরাছ পায় কিন্তু তার সমমানের পুরুষ বঞ্চিত হয় । যেমন,
১.
ওয়ারিস যদি হয় স্বামী, বাবা, মা, মেয়ে ও
নাতনী (ছেলের মেয়ে) এক্ষেত্রে নাতনী
এক ষষ্ঠাংশ পাবে। অথচ একই অবস্থায় যদি
নাতনীর পরিবর্তে নাতী (ছেলের ছেলে)
থাকত তখন এই নাতী কিছুই পেত না। যেহেতু নির্ধারিত অংশীদারদেরকে দিয়ে অবশিষ্টাংশই তার প্রাপ্য ছিলো। অথচ এ অবস্থায় কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তাই তার
প্রাপ্তির খাতাও থাকে শূন্য ।
২.
স্বামী, সহোদর বোন ও বৈমাত্রেয় বোন থাকা অবস্থায় বৈমাত্রেয় বোন এক
ষষ্ঠাংশ পাবে। অথচ তার স্থানে যদি বৈমাত্রেয় ভাই থাকতো তবে সে কিছুই পেত
না,
যেহেতু তার জন্য নির্ধারিত অংশ নেই।
৩. অনেক
সময় দাদী মিরাছ পায়, কিন্তু দাদা বঞ্চিত হয়।
৪. মৃত
ব্যক্তির যদি শুধুমাত্র নানা ও নানীই ওয়ারিস হিসেবে থাকে তখন সব সম্পত্তি পাবে
নানী। নানা কোন কিছুই পাবে
না।
এরপরও
কি বলা হবে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ইসলাম নারীকে ঠকিয়েছে? এ তুলনামূলক আলোচনার মূল
প্রতিপাদ্য বিষয় হলো এ বাস্তবতাকে সাব্যস্ত করা যে,
এক. নারী পুরুষের অর্ধেক
পায় এই বিধান সব সময়ের জন্য নয়।
দুই. অংশ
পাওয়ার ক্ষেত্রে নারী কোন অংশেই
পুরুষের চেয়ে কম নয়।
সুতরাং
অংশ নির্ধারণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বিভাজন
টানা নিতান্তই অজ্ঞতার পরিচায়ক। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্ভবত
এসব তথ্য জেনেই জনৈক মনীষী বলেছিলেন: "ইসলাম যদি ইনসাফের ধর্ম না
হতো তাহলে আমি বলতাম উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে
নারীর বিপরীতে পুরুষকে ঠকানো হয়েছে।"
লেখক :
মুহাম্মদ আফীফ ফুরকান
http://www.islamhouse.com/
http://www.islamhouse.com/
(স্মরণ করি-২৪৭ পর্ব)
WAMY BANGLADESH
Pioneer Organization for Distinguished Youth
এটি
ওয়ার্ল্ড এসেম্বলী অফ মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামী), বাংলাদেশ অফিসের মিডিয়া ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে একটি কার্যক্রম । কুরআন
ও হাদীসের মহান বাণী, সম সাময়িক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ- নিয়ে সাজানো । উদ্দেশ্য সর্বস্তরের মানুষের সাথে সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধন তৈরী করা। বিস্তারিত জানতে মেইল করুন wamybangladesh@gmail.com অথবা ভিজিট
করুন http://www.ohioftruth.blogspot.com/
or http://www.facebook.com/Daily.OHI