السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
মিথ্যার প্রচলিত আকার-প্রকৃতি-৩
বাচ্চাদের সাথে মিথ্যা বলা
একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এক মহিলা একটি ছোট্ট বাচ্চাকে কোলে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বাচ্চা কাছে যেতে চাচ্ছিল না। অতঃপর মহিলা বাচ্চাটিকে কাছে নেওয়ার জন্য বললেন : কাছে এসো, তোমাকে একটি জিনিস দেব। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শুনে বললেন, সত্যিই কি তুমি তাকে কিছু দেবে? না এমনিই তাকে কাছে নেওয়ার জন্য বলছ? মহিলা বললেন, আমার খেজুর দেওয়ার ইচ্ছা আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তোমার খেজুর দেয়ার ইচ্ছা না থাকত এবং শুধুমাত্র তাকে আহ্বান করাই উদ্দেশ্য হত তাহলে তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যা বলার গুনাহ লেখা হত। [আবু দাউদ: ৪৯৯১]
এ হাদীস দ্বারা আমরা এ শিক্ষা পাই যে, বাচ্চাদের সাথেও মিথ্যা বলা যাবে না। তাদের সাথে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করা যাবে না। নতুবা জীবনের শুরুতেই, মিথ্যা বলা অন্যায় নয়, এমন মনোভাব তাদের অন্তরে প্রোথিত হবে।
ঠাট্টাবশত মিথ্যা বলা
আমরা অনেক সময় হাসি-ঠাট্টাবশত মিথ্যা বলে থাকি। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এধরনের মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন। একটি হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আফসোস করে বলেছেন: ঐ ব্যক্তির জন্য কঠিন শাস্তি, কঠিন শাস্তি, অতঃপর কঠিন শাস্তি যে মিথ্যা বলে, মানুষকে হাসানোর উদ্দেশ্যে। [আবু দাউদ: ৪৯৯০]
হাসির গল্প, আনন্দদায়ক কথা বা রসিকতা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামও করেছেন। কিন্তু কখনো তিনি এমন করেন নি যে, যা অসত্য বা বাস্তবতা-বিরোধী সে ধরনের কোনো কথার আশ্রয় নিয়েছেন। হাদীসে এসেছে, একবার এক বৃদ্ধ মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এলেন। তিনি আবেদন পেশ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি আমার জন্য জান্নাত লাভের দো‘আ করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: হে ওমুকের মা! বৃদ্ধারা বেহেশতে যাবে না।
একথা শুনে বৃদ্ধা খুবই উৎকন্ঠিত হলেন, এমনকী ক্রন্দন শুরু করে দিলেন। তিনি ভাবলেন যে কক্ষনোই তার বেহেশতে যাওয়া হবে না। বৃদ্ধার অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাখ্যা করে বললেন যে, কোনো বৃদ্ধমহিলা বৃদ্ধাবস্থায় বেহেশতে প্রবেশ করবে না। বরং আল্লাহ তাদেরকে নতুন সৃষ্টিতে রূপান্তরিত করবেন। অতঃপর পূর্ণযৌবনা-কুমারী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এরপর তিনি কুরআনের এ আয়াতটি পড়ে শোনালেন, (নিশ্চয় আমি তাদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব, অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়সী) [আল-মু‘জামুল আওসাত: ৫/৩৫৭; নং ৫৫৪৫]
أن امرأة عجوزا جاءته تقول له : يا رسول الله ادع الله لي أن يدخلني الجنة فقال لها : يا أم فلان إن الجنة لا يدخلها عجوز وانزعجت المرأة وبكت ظنا منها أنها لن تدخل الجنة فلما رأى ذلك منها بين لها غرضه أن العجوز لن تدخل الجنة عجوزا بل ينشئها الله خلقا آخر فتدخلها شابة بكرا وتلا عليها قول الله تعالى : { إنا أنشأناهن إنشاء فجعلناهن أبكارا عربا أترابا } . وقد حسنه الشيخ الألباني في غاية المرام برقم 375
এখানে দেখা যাচ্ছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত সুন্দর কৌতুক করলেন। অথচ তা বাস্তবতাবিরোধী বা কোনো অর্থেই অসত্য নয়।
মূলঃশামসুল হুদা আযীযুল হক
Collected From: http://www.islamhouse.com/
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit: