السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
রাসূলুল্লাহ যেভাবে হজ করেছেন-৯
পশু যবেহ ও মাথা মুন্ডন
৮৪- অতপর আলী রা. কে অবশিষ্টগুলো যবেহ করার দায়িত্ব দিলেন তিনি তাকে নিজের হাদীতে শরীক রাখলেন।
৮৫- এরপর প্রত্যেক যবেহকৃত উট থেকে এক টুকরো করে নিয়ে রান্না করতে নির্দেশ দিলেন। তখন
৮৬- এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘জাবের রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) নিজের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে একটি গাভি যবেহ করেন।’[3]
৮৭- অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তিনি সাত জনের পক্ষ থেকে একটি উট যবেহ করেন। আর সাতজনের পক্ষ থেকে একটি গাভি যবেহ করেন।’[4] ‘অতপর আমরা সাতজন উটে শরীক হলাম। এক লোক রাসূলুল্লাহ
(সা) কে বলল, আপনি কি মনে করেন, গাভিতেও শরীক হওয়া যাবে? তখন তিনি বললেন,
مَا هِىَ إِلاَّ مِنَ الْبُدْنِ
৮৮- ‘জাবের রা. বলেন, আমরা মিনায় তিনদিন উটের গোশত খেয়ে তারপর খাওয়া থেকে বিরত
রইলাম। অতপর রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে অনুমতি দিয়ে বললেন,
كُلُوا وَتَزَوَّدُوا
‘তোমরা খাও এবং পাথেয় হিসেবে রেখে দাও[6]।’[7] ‘জাবের রা. বলেন, অতপর আমরা খেলাম এবং জমা করে রাখলাম।’[8] ‘এভাবে সেগুলো নিয়ে আমরা মদীনায় পৌঁছলাম।’[9]
১০ যিলহজের আমলে ধারাবাহিকতা রক্ষা না হলে কোন অসুবিধা নেই
৯০- ‘কুরবানীর দিন মিনায়’[11] মানুষের (প্রশ্নোত্তরের) জন্য বসলেন। ‘সে দিনের’[12] আমলগুলোতে ‘আগে পরে হয়েছে’[13]এমন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
لاََ حَرَجَ لاَ حَرَجَ
৯১- এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি যবেহ করার পূর্বে মাথা মুন্ডন করে ফেলেছি। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন,
وَلاَ حَرَج ‘
কোনো সমস্যা নেই।
’
৯২- অন্য একজন এসে বলল, ‘আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে মাথা মুন্ডন করে ফেলেছি, তিনি বললেন,
وَلاَ حَرَج ‘
কোনো সমস্যা নেই।
’
৯৩- তারপর ‘আরেক জন এসে বলল, আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে তাওয়াফ করেছি, তিনি বললেন,
وَلاَ حَرَج ‘
৯৪- ‘অন্য এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি পশু যবেহের আগে তাওয়াফ করেছি। তিনি বললেন,
ِاذْبَحْ وَلاَ حَرَج ‘
৯৫- তারপর অন্য আরেক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করে
ফেলেছি। তিনি বললেন,
ارْمِ ، وَلاَ حَرَجَ
৯৬- ‘অতপর আল্লাহর নবী (সা) বললেন,
قَدْ نَحَرْتُ هَهُنَا وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ
ইয়াউমুন-নহর তথা ১০ তারিখের ভাষণ
99 - জাবের রা. বলেন, ‘কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সা) ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন,
· أَيُّ يَوْمٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً ؟ فَقَالُوْا : يَوْمُنَا هَذَا
‘সম্মানের দিক থেকে কোন্ দিনটি সবচে’ বড় ? তাঁরা বললেন, আমাদের এই দিনটি।
· قَالَ : أَيُّ شَهْرٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً ؟ فَقَالُوْا : شَهْرُنَا هَذَا
‘তিনি বললেন, কোন্ মাসটি সম্মানের দিক থেকে সবচে’ বড় ? তাঁরা বললেন, আমাদের এই
মাসটি।
· قَالَ : أَيُّ بَلَدٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً ؟ فَقَالُوْا : بَلَدُنَا هَذَا
‘তিনি বললেন, কোন্ শহরটি সম্মানের দিক থেকে সবচে’ বড় ? তাঁরা বললেন, আমাদের এই শহরটি।’
· قَالَ : فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَاٌم كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِيْ شَهْرِكُمْ هَذَا
‘তিনি বললেন, নিশ্চয় তোমাদের রক্ত ও তোমাদের সম্পদ আজকের এই দিন, এই শহর, এই
মাসের ন্যায় সম্মানিত।’
· هَلْ بَلَّغْتُ ؟ قَالُوْا : نَعَمْ . قَالَ : اَللَّهُمَّ اشْهَدْ .
‘আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আপনি সাক্ষী থাকুন।’[21]
চলবে...
[1]. ইবন মাজা।
[3]. মুসলিম।
[4]. মুসলিম।
[5]. বুখারী ফিত-তারীখ।
[6]. মুশরিকরা তাদের যবেহকৃত হাদীর গোশত ভক্ষণ করত না। তারা নিজদের জন্য তা হারাম মনে করত। মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তা
খাওয়ার নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে জাহেলী যুগের কুপ্রথার বিলুপ্তি ঘটান।
[7]. মুসনাদে আহমদ।
[9]. মুসনাদে আহমদ।
[10]. মুসনাদে আহমদ।
[11]. ইব্ন মাজা।
[12]. ইব্ন মাজা।
[13]. ইব্ন মাজা।
[14]. অর্থাৎ তোমার যে আমলগুলো বাকি আছে তা আদায় করে নাও। আর যেগুলো করেছো- তাতে যা আগে-পিছে হয়েছে তাতে কোনো
অসুবিধে নেই।
[16]. তাহাবী।
[17]. মুসনাদে আহমদ।
[18]. মুসনাদে আহমদ।
[19]. আবূ দাউদ।
[20]. মুসলিম।
[21]. মুসনাদে আহমদ।
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:
বই পড়ুনঃ http://ohilibrary. blogspot.com/