السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
রাসূলুল্লাহ যেভাবে হজ করেছেন-৬
রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর মত ইহরাম বেঁধে ইয়ামান থেকে আলী রা.-এর আগমন
৪৪- ‘এদিকে আলী রা. তাঁর কর্মস্থল ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের উটগুলো নিয়ে আগমন করলেন।’[1]
রঙ্গীন পোশাক পরেছেন এবং সুরমা ব্যবহার করেছেন। তিনি ফাতিমা রা. কে এই অবস্থায় দেখে তা অপছন্দ করলেন। ‘তিনি বললেন, তোমাকে এ রকম করার জন্য কে নির্দেশ দিয়েছে?’[3] ফাতেমা রা.
বললেন, আমার পিতা আমাকে এ রকম করার নির্দেশ দিয়েছেন।
৪৬- জাবের রা. বলেন, আলী রা. ইরাকে থাকা অবস্থায় বলতেন, ‘ফাতেমার কৃতকর্মের ওপর
উত্তেজিত অবস্থায় আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে গেলাম, ফাতেমা যা রাসূলের বরাত দিয়ে
বলেছেন সে সম্পর্কে তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করলাম। আমি রাসূলকে জানালাম যে, আমি ফাতেমার এ
কাজ অপছন্দ করেছি; কিন্তু সে আমাকে বলেছে, আমার পিতা আমাকে এরকম করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’[4] তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
صَدَقَتْ صَدَقَتْ صَدَقَتْ أَنَا أَمَرْتُهَا بِهِ
৪৬- জাবের রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ আলী রা. কে বললেন, হজের নিয়ত করার সময় তুমি কী
বলেছিলে? তিনি বললেন, আমি বলেছি,
اللَّهُمَّ إِنِّي أُهِلَّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللهِ ﷺ،
‘হে আল্লাহ, নিশ্চয় আমি এভাবে ইহরাম বাঁধছি যেভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ ইহরাম বেঁধেছেন’।
৪৭- রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
فَإِنَّ مَعِىَ الْهَدْىَ فَلاَ تَحِلُّ، وَامْكُثْ حَرَامًا كَمَا أَنْتَ
৪৭- জাবের রা. বলেন, ইয়ামান থেকে আলী রা. কর্তৃক আনিত হাদী এবং ‘মদীনা থেকে’[8] রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক আনিত হাদীর ‘মোট সংখ্যা ছিল একশত উট।’[9]
৪৮- জাবের রা. বলেন, নবী ﷺ ও যাদের সাথে হাদী ছিল, তাঁরা ছাড়া সব মানুষ হালাল হয়ে
গেল এবং চুল ছোট করল।
৮ যিলহজ ইহরাম বেঁধে মিনা যাত্রা
৪৯- অতপর যখন তারবিয়া দিবস (যিলহজের আট তারিখ) হল, তখন তাঁরা ‘তাদের আবাসস্থল বাতহা থেকে’[10] হজের ইহরাম বেঁধে মিনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন।
৫০- জাবের রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আয়েশার কাছে গেলেন। তিনি তাঁকে ক্রন্দনরত অবস্থায়
পেলেন। তখন তিনি বললেন,
َ
‘তোমার কী হয়েছে? আয়েশা রা. বললেন, আমার হায়েয এসে গেছে। লোকজন হালাল হয়ে গিয়েছে;
কিন্তু আমি হালাল হতে পারিনি। বায়তুল্লাহর তাওয়াফও করিনি। অথচ সব মানুষ এখন হজে যাচ্ছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, এটা এমন একটি বিষয়, যা আল্লাহ আদমের কন্যা সন্তানদের ওপর
নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি গোসল করে নাও। অতপর হজের তালবিয়া পাঠ কর।
‘তারপর তুমি হজ কর এবং হজকারী যা করে তুমিও তা কর; কিন্তু বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করো না এবং সালাত আদায় করো না’।[11] ‘অতপর তিনি তাই করলেন, কিন্তু বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন না।’[12]
যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজরের সালাত আদায় করলেন।
চলবে...
[1]. মুসলিম, নাসাঈ।
[2]. ইবনুল-জারূদ।
[3]. আবূ দাউদ, বায়হাকী।
[4]. আবূ দাউদ, বায়হাকী।
[5]. নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ।
[6]. নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ।
[7]. নাসাঈ।
[8]. নাসাঈ, ইবন মাজা।
[9]. দারমী।
[10]. বুখারী, মুসলিম।
[11]. মুসনাদে আহমদ, আবূ দাউদ।
[12]. মুসনাদে আহমদ।
[13]. এ থেকে বুঝা যায় এসব স্থানে হাঁটার চেয়ে আরোহনই উত্তম; যেমন পুরো রাস্তায় হেঁটে আসার চেয়ে
বাহনে আসা উত্তম। দেখুন : আত-তা‘লীক : ১৬।
[14]. আবূ দাউদ।
[15]. এ থেকে জানা গেল, মিনায় রাত্রিযাপন করা এবং সকালের আগে এস্থান ত্যাগ না করা সুন্নত।
[16]. আবূ দাউদ, ইবন মাজা।
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:
বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot. com