Wednesday, October 12, 2011

রাসূলুল্লাহ যেভাবে হজ করেছেন-৬


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


রাসূলুল্লাহ যেভাবে হজ করেছেন-৬

রাসূলুল্লাহ  -এর মত ইহরাম বেঁধে ইয়ামান থেকে আলী রা.-এর আগমন

৪৪- এদিকে আলী রা. তাঁর কর্মস্থল ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের উটগুলো নিয়ে আগমন করলেন।[1]
৪৫- তিনি ফাতিমা রা. কে তাদের মধ্যে পেলেন যারা হালাল হয়েছেন। তিনি মাথা আঁচড়িয়েছেন,’[2] 

রঙ্গীন পোশাক পরেছেন এবং সুরমা ব্যবহার করেছেন। তিনি ফাতিমা রা. কে এই অবস্থায় দেখে তা অপছন্দ করলেন। তিনি বললেনতোমাকে এ রকম করার জন্য কে নির্দেশ দিয়েছে?’[3] ফাতেমা রা. 

বললেনআমার পিতা আমাকে এ রকম করার নির্দেশ দিয়েছেন।

৪৬- জাবের রা. বলেনআলী রা. ইরাকে থাকা অবস্থায় বলতেন, ‘ফাতেমার কৃতকর্মের ওপর 

উত্তেজিত অবস্থায় আমি রাসূলুল্লাহ  এর কাছে গেলামফাতেমা যা রাসূলের বরাত দিয়ে 

বলেছেন সে সম্পর্কে তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করলাম। আমি রাসূলকে জানালাম যেআমি ফাতেমার এ 

কাজ অপছন্দ করেছিকিন্তু সে আমাকে বলেছেআমার পিতা আমাকে এরকম করতে নির্দেশ দিয়েছেন।[4] তখন রাসূলুল্লাহ  বললেন,

صَدَقَتْ صَدَقَتْ صَدَقَتْ أَنَا أَمَرْتُهَا بِهِ

সে সত্য বলেছেসে সত্য বলেছেসে সত্য বলেছে[5]। আমিই তাকে এরকম করতে নির্দেশ দিয়েছি।[6]

৪৬- জাবের রা. বলেনরাসূলুল্লাহ আলী রা. কে বললেনহজের নিয়ত করার সময় তুমি কী 

বলেছিলেতিনি বললেনআমি বলেছি,

اللَّهُمَّ إِنِّي أُهِلَّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللهِ ،

হে আল্লাহনিশ্চয় আমি এভাবে ইহরাম বাঁধছি যেভাবে রাসূলুল্লাহ  ইহরাম বেঁধেছেন

৪৭- রাসূলুল্লাহ  বললেন,

فَإِنَّ مَعِىَ الْهَدْىَ فَلاَ تَحِلُّ، وَامْكُثْ حَرَامًا كَمَا أَنْتَ

আমার সাথে হাদী রয়েছে। সুতরাং তুমি হালাল হয়ো না। তুমি হারাম অবস্থায়ই থাকো যেমন আছ।[7]

৪৭- জাবের রা. বলেনইয়ামান থেকে আলী রা. কর্তৃক আনিত হাদী এবং মদীনা থেকে[8] রাসূলুল্লাহ  কর্তৃক আনিত হাদীর মোট সংখ্যা ছিল একশত উট।[9]

৪৮- জাবের রা. বলেননবী  ও যাদের সাথে হাদী ছিলতাঁরা ছাড়া সব মানুষ হালাল হয়ে 

গেল এবং চুল ছোট করল।

৮ যিলহজ ইহরাম বেঁধে মিনা যাত্রা
৪৯- অতপর যখন তারবিয়া দিবস (যিলহজের আট তারিখ) হলতখন তাঁরা তাদের আবাসস্থল বাতহা থেকে[10] হজের ইহরাম বেঁধে মিনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন।

৫০- জাবের রা. বলেনরাসূলুল্লাহ  আয়েশার কাছে গেলেন। তিনি  তাঁকে ক্রন্দনরত অবস্থায়

পেলেন। তখন তিনি বললেন,
َ
  مَا شَانُكِ ؟ قَالَتْ : شَانِى أَنِّى قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلِلْ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الآنَ. فَقَالَ إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِى ثُمَّ أَهِلِّى بِالْحَجِّ ثُمَّ حُجِّى وَاصْنَعِى مَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِى بِالْبَيْتِ وَلاَ تُصَلِّى

তোমার কী হয়েছেআয়েশা রা. বললেনআমার হায়েয এসে গেছে। লোকজন হালাল হয়ে গিয়েছে

কিন্তু আমি হালাল হতে পারিনি। বায়তুল্লাহর তাওয়াফও করিনি। অথচ সব মানুষ এখন হজে যাচ্ছে। 

রাসূলুল্লাহ  বললেনএটা এমন একটি বিষয়যা আল্লাহ আদমের কন্যা সন্তানদের ওপর 

নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি গোসল করে নাও। অতপর হজের তালবিয়া পাঠ কর। 

তারপর তুমি হজ কর এবং হজকারী যা করে তুমিও তা করকিন্তু বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করো না এবং সালাত আদায় করো না[11] ‘অতপর তিনি তাই করলেনকিন্তু বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন না।[12]

৫১- আর রাসূলুল্লাহ  উটের পিঠে আরোহন করলেন।[13] তিনি আমাদেরকে নিয়ে মিনায়[14] 

যোহরআসরমাগরিবইশা ও ফজরের সালাত আদায় করলেন।

৫২- অতপর তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। এভাবেই সূর্য উদিত হলো।[15]
৫৩- তিনি নামিরা নামক স্থানে তাঁর জন্য[16] একটি পশমের তাবু স্থাপন করার নির্দেশ দিলেন।

চলবে...



[1]. মুসলিমনাসাঈ।
[2]. ইবনুল-জারূদ।
[3]. আবূ দাউদবায়হাকী।
[4]. আবূ দাউদবায়হাকী।
[5]. নাসাঈমুসনাদে আহমদ।
[6]. নাসাঈমুসনাদে আহমদ।
[7]. নাসাঈ।
[8]. নাসাঈইবন মাজা।
[9]. দারমী।
[10]. বুখারীমুসলিম।
[11]. মুসনাদে আহমদআবূ দাউদ।
[12]. মুসনাদে আহমদ।
[13]. এ থেকে বুঝা যায় এসব স্থানে হাঁটার চেয়ে আরোহনই উত্তমযেমন পুরো রাস্তায় হেঁটে আসার চেয়ে 
বাহনে আসা উত্তম। দেখুন : আত-তালীক : ১৬।
[14]. আবূ দাউদ।
[15]. এ থেকে জানা গেলমিনায় রাত্রিযাপন করা এবং সকালের আগে এস্থান ত্যাগ না করা সুন্নত।
[16]. আবূ দাউদইবন মাজা।

be Organized by Holy Islam 
O.H.I 
For More Visit:

বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot.com