Wednesday, August 17, 2011

রামাদান ম্যানুয়েল-১৬: রোজাদারের গোসল ও পানি দিয়ে শীতলতা অর্জন


السلام عليكم

দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা


রামাদান ম্যানুয়েল-১৬: রোজাদারের গোসল ও পানি দিয়ে শীতলতা অর্জন


عن عائشة رضي الله عنها قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصبح جنبا ثم يغتسل ثم يغدو إلى المسجد ورأسه يقطر ثم يصوم ذلك اليوم. رواه أحمد والنسائي

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. সকালে গোসল ফরজ হওয়া নাপাকী অবস্থায় নিদ্রা থেকে উঠে গোসল করতেন। এরপর মসজিদে যেতেন তখন তার মাথা থেকে গোসলের পানির ফোটা পড়তে থাকত। অতঃপর তিনি এ দিন রোজা পালন করতেন।

عن أبي بكر بن عبد الرحمن عن بعض أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قال: لقد رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم بالعرج يصب على رأسه الماء وهو صائم من العطش أو من الحر.  رواه أبو داود

আবু বকর ইবনে আব্দুররহমান নবী কারীম সা. এর এক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমি দেখেছি রাসূলুল্লাহ সা. গরমের কারণে বা পিপাসার কারণে রোজা রাখা অবস্থায় মাথায় পানি দিয়েছেন।

ইমাম বুখারী রহ. বলেন, ইবনে উমার রা. রোজা রাখা অবস্থায় কাপড় ভিজিয়ে গায়ে জড়াতেন। ইমাম শাবী রোযা রাখা অবস্থায় গোসলখানায় যেতেন। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘রোজা রেখে ডেগে পাক করা অবস্থায় খাদ্যের স্বাদ বা অন্য কোন বস্তুর স্বাদ পরীক্ষা করলে অসুবিধা নেই।হাসান রহ. বলেন, ‘রোজা অবস্থায় কুলি করা ও পানি দিয়ে শীতলতা অর্জন দোষের কিছু নয়।ইবনে মাসউদ রা. বলেন, ‘যখন তোমাদের কেহ রোজা পালন করে, সে যেন তেল মেখে চুলগুলো পরিপাটি করে রাখে।আনাস রা. বলেন, ‘আমার একটি ছোট হাউজ আছে। এতে আমি রোজা রাখা অবস্থায় ডুব দেই।

হাদিসসমূহ থেকে যা শিখলাম :

১. রোজাদারের জন্য জায়েয আছে যে, সে গরম বা পিপাসা হালকা করার জন্য তার শরীরে পানি ছিটাতে পারবে। এমনিভাবে গোসল ফরজ হলে গোসলতো করতেই হবে। বিনা প্রয়োজনেও গোসল করতে পারবে।

২. রোজাদার পানিতে ডুব দিতে পারবে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি মুখের মধ্যে প্রবেশ না করে।

৩. ইবাদতের কোন ক্ষেত্রে কষ্ট হলে তা লাঘব করার ব্যবস্থা নেয়া দোষের কিছু নয়।

৪. মানুষের অক্ষমতা ও দুর্বলতার একটি প্রমাণ, যে তারা আল্লাহর নেআমাতের মুখাপেক্ষী।

৫. রোজাদারের গোসলখানায় প্রবেশের বৈধতা, এমনিভাবে সুগন্ধি ব্যবহার, তৈল ব্যবহার, সাজ-সজ্জার উপকরণ গ্রহণ ইত্যাদি রোজার কোন ক্ষতি করে না।

৬. রোজাদার শীতল পরশের জন্য হাউজ, ট্যাংকি, পুকুর ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন তিনি পবিত্রতা অর্জনের জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

৭. যে ব্যক্তি খানা পাকানোর দায়িত্ব পালন করেন, প্রয়োজনে তিনি খাদ্যের স্বাদ পরীক্ষা করার জন্য খাবার মুখে নিতে পারেন, তবে তা যেন কোনভাবে গলার ভিতর প্রবেশ না করে। ইমাম আহমাদ রহ. বলেন, আমার কাছে পছন্দনীয় হলো রোজা অবস্থায় খাবার স্বাদ পরীক্ষা করবে না। যদি কেহ পরীক্ষা করে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। 
সৌদী আরবের স্থায়ী ফতওয়া পরিষদ রোজা অবস্থায় খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা জায়েয বলে ফতওয়া দিয়েছেন।

·         আহমাদ, হাদীস নং ৯৯/৬, নাসায়ী  সনানে কুবরা, হাদীস নং ২৯৮৬
·         আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৬৫, আহমাদ - ৪৭৫/৩, মুআত্তা মালেক -২৯৪/১ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
·         সহীহ আল=বুখারী ৬৮১/২
·         আল-মুগনী, ১৯/৩
·         ফতওয়া আল-লাজনাতিদ দায়েমা, ফতওয়া নং ৯৮৪৫, এমনিভাবে শায়খ আল-উসাইমীন ফতওয়া আরকানুল ইসলামের ৪৮৪ নং ফতওয়াতে এ রকম ফতওয়া দিয়েছেন।

Collected from Islamhouse.com

শিশুদের জন্য সিয়াম সম্পর্কিত কার্টুন দেখুনঃ

         
                   http://www.youtube.com/watch?v=nspZK6R5EPw

সাওম/রোজা সংক্রান্ত বই
ক্রম
বই
লেখক
১০৪
আব্দুর রহমান বিন আব্দুল আযীয আস-সুদাইস
১০৫
সিয়াম রাসুলুল্লাহর(স) রোযা
ডাঃ জাকির নায়েক
১০৬
শায়খ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
১০৭
সংকলনঃ মুহাম্মদ নাসীল শাহরুখ
১০৮
আলী হাসান তৈয়ব
১০৯
অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলাম
১১০
ফয়সাল বিন আলী আল বা'দানী
১১১
আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
১১২
শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন
১১৩
আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান
১১৪
জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
১১৫
সংকলনঃ আবুল কালাম আজাদ


O.H.I 
For More Visit:
      http://www.youtube.com/trueohi
      


বই পড়ুনঃ