Thursday, July 29, 2010

জ্ঞানের বহু ধারক-ই প্রকৃত জ্ঞানী নয়


   السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
জ্ঞানের বহু ধারক-ই প্রকৃত জ্ঞানী নয়

রাবী যাইদ ইবনে সাবিত থেকে বর্ণিত  
             

আল্লাহ তাআলা সেই লোকের মুখমন্ডল উজ্জল-উদ্ভাসিত করে রাখবেন,যে আমার কথা শুনে মুখস্ত করে রাখবে কিংবা স্মৃতিপটে সংরক্ষিত রাখবে এবং অন্য লোকের কাছে তা পৌছে দিবে।

জ্ঞানের বহু ধারক-ই প্রকৃত জ্ঞানী নয়,তবে জ্ঞানের বহু ধারক তা এমন ব্যক্তির কাছে পৌছে দেয়,যে তা অধিক মূল্যায়নকারী হয়।


                                           আবু দাউদ-হাদীস-১৬৪৩

শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ)
ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া



be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:


Monday, July 26, 2010

রাসুলুল্লাহ(স)-ও আল্লাহকে দেখেন নি!

السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
রাসুলুল্লাহ(স)-ও আল্লাহকে দেখেন নি!  

মাসরুক (রা) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ আমি আয়েশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে উম্মুল মুমীনীন! মুহাম্মদ(সঃ) কি তার রবকে (মেরাজের সময়ে) দেখেছিলেন? তিনি বললেন, তোমার কথায় আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়ে গেছে। তিনটি কথা সম্পর্কে তুমি  কি অবগত নও? সে তিনটি কথার কোন কোন একটি কেউ তোমাকে বললে সে মিথ্যাবাদী হবে (সেই তিনটি কথা হল)

(১) যদি কোন লোক তোমার কাছে বলে যে, মুহাম্মদ(সঃ) তাঁর রবকে দেখেছেন, তবে সে মিথ্যা বলেছে তারপর এ কথার সমর্থনে তিনি এ আয়াত পড়েছেন, দৃষ্টিশক্তি তাঁকে আয়ত্ত করতে পারে না, বরং তিনিই সব দৃষ্টিকে আয়ত্তে রাখেন এবং তিনি অতি সূক্ষদর্শী ও সব অবহিত। (আর একটি আয়াত হল) কোন মানুষের পক্ষে এ সম্ভব নয় যে, পর্দার আড়াল ছাড়া আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে
(২) আর যে লোক তোমাকে বলে যে, আগামীকাল কি হবে, না হবে, সে তা অবগত, তবে সে মিথ্যাবাদী। (অনন্তর) এ দাবীর সমর্থনে তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন। কোন লোকই অবগত নয়, আগামীকাল সে কি করবে
(৩) আর যে লোক তোমার কাছে বলে যে, তিনি (রাসুলুল্লাহ) কোন কথা গোপণ রেখেছেন তবে সে-ও মিথ্যাবাদী। (এর সমর্থনে) তিনি (এ আয়াত) তেলাওয়াত করলেন। হে রাসূল! আপনার কাছে যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তা সমস্তই আপনি (মানুষের কাছে) পৌছে দিন
আয়েশা (রা) কিন্তু রাসূল (সা) জিব্রাঈল(আ) কে তাঁর নিজস্ব আকৃতিতে কেবল দুবার দেখেছেন।

[সহী্হ বুখারী:২৭৭০]

be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:

Sunday, July 25, 2010

এ পৃথিবী মুমিনদের জন্য জাহান্নাম ও অবিশ্বাসীদের জন্য জান্নাত



  السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
এ পৃথিবী মুমিনদের জন্য জাহান্নাম ও অবিশ্বাসীদের জন্য জান্নাত


ইবনে হাজর আসকালানী যখন কায়রোর প্রধান বিচারপতি তখন একটি মজার ঘটনা ঘটে। একদা তিনি  শহরের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার পাশে ছিল জনৈক ইহুদীর তেলের মিল। ক্লান্ত শ্রান্ত ঘর্মাক্ত দেহে জরাজীর্ণ তৈলাক্ত কাপড় পরিহিত অবস্থায় সে তখন নিজ মিলে কাজ করছিল।  গাধার পিঠে আসীন বিচারককে দেখামাত্র লোকটি মিল থেকে বের হয়ে পড়ল। গাধাটির অগ্রযাত্রাকে রোধ করে সে ইবনে হাজরকে বলল, আমার একটি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে যেতে দেওয়া হবে না। আপনাদের নাবী সত্যিই কি বলেছেন, এ পৃথিবী মুমিন মুসলমানদের জন্য জাহান্নাম (স্বরুপ) এবং অবিশ্বাসীদের জন্য জান্নাত (স্বরুপ)?

ইবনে হাজর বললেন, হ্যাঁ, তিনি ঠিকই তা বলেছেন।

লোকটি বলল, তা যদি ঠিক হয় তবে এবার আপনি আমাকে বলুন, আপনি কোন জাহান্নামে আছেন এবং আমি কোন জান্নাতে আছি?

ইবন হাজার তৎক্ষণাৎ বললেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন, বিশ্বাসীদের জন্য জান্নাতে যে সব অফুরন্ত নেয়ামতরাজি, সুখ ও শান্তিময় জীবন রেখেছেন, তার তুলনায় পার্থিব এ জীবন তাদের জন্য জাহান্নাম স্বরুপ। আর, অবিশ্বাসীদের জন্য যে ভয়াবহ শাস্তি ও দূর্বিসহ জীবন জাহান্নামে রাখা হয়েছে, তার তুলনায় এ পৃথিবী তাদের জন্য জান্নাতস্বরুপ।

ইবনে হাজরের জবাব শুনামাত্র লোকটি তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল ও বলল, দয়া করে আমাকে দীন ইসলামের শীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিন।

[আল-মুনাব্বিহাত পৃষ্ঠা-১৫]


be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:



Friday, July 23, 2010

যে ঈমানের মিষ্টতার স্বাদ আস্বাদন করে


  السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
যে ঈমানের মিষ্টতার স্বাদ আস্বাদন করে


আনাস (রা) থেকে বর্ণিত,নবী করিম (সা) বলেছেনঃ
তিনটি বিষয় যার মধ্যে আছে,সে ঈমানের মিষ্টতার স্বাদ আস্বাদন করে।

(১) তার কাছে আল্লাহ ও তার রাসূল সবচেয়ে প্রিয়তর হওয়া
(২) কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহর জন্যই ভালবাসা
(৩) আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অপ্রিয় জানার ন্যায় কুফরীতে প্রত্যাবর্তনকেও অপ্রিয় মনে  করা

[সহী্হ বুখারী:১৫]


be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:

Monday, July 19, 2010

চলুন গাছ লাগাই


                                   
السلام عليكم


দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
চলুন গাছ লাগাই

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি কারো ওপর যুলুম করা, বা কারো ওপর অন্যায়ভাবে বল প্রয়োগ ছাড়াই কোন গৃহ নির্মাণ করবে অথবা কারো ওপর যুলুম বা অন্যায়ভাবে বল প্রয়োগ ছাড়াই কোন গাছের চারা লাগাবে, সে গৃহ বা গাছ দ্বারা যতদিন দয়াময় আল্লাহর কোন সৃষ্টি উপকৃত হতে থাকবে,ততদিন তার বিনিময়ে সে অব্যাহত ভাবে সওয়াব পেতে থাকবে.

[আহমাদ] (হযরত মুয়ায ইবনে আনাস (রা.)থেকে বর্ণিত;) আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব ৩য় খন্ড হাদীস ১৩১৯


be Organized by Holy Islam O.H.I For More Visit:

বই পড়ুনঃ http://ohilibrary.blogspot.com/