السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
হযরত ঈসা (আ)
আল্লাহ
বলেন,
নিশ্চয়ই তারা কুফরী করেছে, যারা বলেছে, মরিয়ম–পুত্র মসীহ খোদা ; তাদেরকে বলো যে, আল্লাহ
যদি মরিয়ম পুত্র মসীহকে এবং তার মা ও সমস্ত পৃথিবীবাসীকে ধ্বংস করতে চান তবে তার
ইচ্ছা হতে তাকে বিরত রাখার মত শক্তি কার আছে? আল্লাহ তো আসমান ও জমিন এবং এর মধ্যে
অবস্থিত সমস্ত জিনিসেরই মালিক; তিনি যা কিছু চান, তাই পয়দা করেন; তাঁর শক্তি
প্রতিটি জিনিসেরই ওপর পরিব্যাপ্ত রয়েছে; ইহুদী ও নাসারাগণ (খৃষ্ট্রান) বলে যে,
আমরা আল্লাহর সন্তান ও প্রিয় পাত্র; তাদেরকে জিজ্ঞেস করো তাহলে তিনি তোমাদের পাপের
কারণে তোমাদেরকে কেন শাস্তি দান করেন? প্রকৃত ব্যাপার যে, তোমরাও আল্লাহর অন্যান্য
সৃষ্ট মানুষের মতোই সমান মর্যাদার মানুষ; তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন ও যাকে
ইচ্ছা শাস্তি দান করেন; আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে অবস্থিত যাবতীয় সৃষ্টি
তাঁরই মালিকাধীন, সব কিছুকে তাঁর দিকেই ফিরে যেতে হবে।
সুরা মায়েদা ৫-৬
যখন ফেরেশতারা বললঃ ‘‘হে মারয়াম! আল্লাহ তোমাকে তাঁর একটি
ফরমানের সুসংবাদ দান করেছেন তার নাম হবে
মসীহ ঈসা ইবনে মারয়াম৷ সে দুনিয়ায় ও
আখেরাতে সম্মানিত হবে ৷ আল্লাহর নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তরভুক্ত হবে ৷
দোলনায় থাকা অবস্থায় ও
পরিণত বয়সেও মানুষের সাথে কথা বলবে এবং সে হবে
সৎব্যক্তিদের অন্যতম৷’’
একথা শুনে মারয়াম বললোঃ ‘‘হে আমার প্রতিপালক ! আমার সন্তান কেমন করে হবে? আমাকে তো কোন পুরুষ স্পর্শও করেনি৷’’ জবাব এলোঃ ‘‘এমনটিই হবে ৷ আল্লাহ যা চান সৃষ্টি
করেন ৷তিনি যখন কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তখন কেবল এতটুকুই বলেন,হয়ে যাও,তাহলেই তা হয়ে যায়৷’’
ইমরান
৪৫-৪৭
এবং তাদের “আমরা আল্লাহর রসূল মারয়াম পুত্র ঈসা মসীহ্কে হত্যা করেছি”,এই উক্তির জন্য (তারা
অভিশপ্ত হয়েছিল) ৷ অথচ প্রকৃতপক্ষে তারা তাকে হত্যাও করেনি এবং শূলেও চড়ায়নি বরং ব্যাপারটিকে
তাদের জন্য সন্দিগ্ধ করে দেয়া হয়েছে৷আর যারা এ ব্যাপারে মতবিরোধ করেছে তারাও আসলে সন্দেহের মধ্যে অবস্থান
করছে৷ তাদের কাছে এ সম্পর্কিত কোন জ্ঞান নেই,আছে নিছক আন্দাজ-অনুমানের অন্ধ অনুসৃতি৷ নিসন্দেহে তারা ঈসা
মসীহকে হত্যা
করেনি৷বরং আল্লাহ তাকে নিজের দিকে উঠিয়ে নিয়েছেন ৷আল্লাহ জবরদস্ত শক্তিশালী ও
প্রজ্ঞাময়৷
নিসা ১৫৭-১৫৮
আর(হে মুহাম্মাদ)!এই কিতাবে মারয়ামের অবস্থা বর্ণনা
করো৷যখন সে নিজের লোকদের থেকে আলাদা হয়ে পূর্ব দিকে নির্জনবাসী হয়ে গিয়েছিল
এবং পর্দা
টেনে তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিল৷এ
অবস্থায় আমি তার কাছে নিজের রূহকে অর্থাৎ(ফেরেশতাকে)পাঠালাম এবং সে তার সামনে
একটি পূর্ণ মানবিক কায়া নিয়ে হাযির হলো৷
মারয়াম অকস্মাৎ বলে উঠলো, ”তুমি যদি আল্লাহকে ভয় করে থাকো
তাহলে আমি তোমার হাত থেকে করুণাময়ের আশ্রয়
চাচ্ছি”৷
সে বললো, “আমি তো তোমার
রবের দূত এবং আমাকে পাঠানো হয়েছে এ জন্য যে, আমি তোমাকে একটি পবিত্র পুত্র দান করবো?”
ফেরেশতা বললো,“এমনটিই হবে,তোমার রব বলেন,এমনটি করা
আমার জন্য অতি সহজ আর আমি এটা এ জন্য করবো
যে,এই ছেলেকে আমি
লোকদের জন্য একটি নির্দশন ও নিজের পক্ষ থেকে
একটি অনুগ্রহে পরিণত করবো এবং এ কাজটি হবেই”৷
মারয়াম এ সন্তানকে গর্ভে ধারণ করলো এবং এ
গর্ভসহ একটি দূরবর্তী স্থানে চলে গেলো৷
তারপর প্রসব বেদনা
তাকে একটি খেজুর গাছের তলে পৌছে দিল৷ সে বলতে থাকলো,
“হায়!
যদি আমি
এর আগেই মরে যেতাম এবং আমার নাম-নিশানাই না থাকতো”৷
ফেরেশতা পায়ের দিক থেকে তাকে ডেকে বললো,“দুঃখ করো না,তোমার রব তোমার নীচে একটি নহর প্রবাহিত
করেছেন
তারপর তুমি খাও,পান করো এবং নিজের
চোখ জুড়াও৷তারপর যদি তুমি মানুষের দেখা পাও
তাহলে তাকে বলে দাও,আমি করুণাময়ের জন্য রোযার মানত মেনেছি, তাই আজ আমি কারোর সাথে কথা বলবো না”৷
তারপর সে এই শিশুটি নিয়ে নিজের সম্প্রদায়ের মধ্যে
এলো৷ লোকেরা বলতে লাগলো, “হে মারয়াম! তুমি তো মহা পাপ করে ফেলেছো৷
হে হারুণের বোন! না তোমার
বাপ কোন খারাপ লোক ছিল,না তোমার মা ছিল কোন ব্যভিচারিনী”৷
মারয়াম শিশুর প্রতি ইশারা করলো৷লোকেরা বললো,“কোলের শিশুর সাথে
আমরা কি কথা বলবো?
শিশু বলে উঠলো,“আমি আল্লাহর বান্দা,তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন ও নবী করেছেন
এবং রবকতময় করেছেন
যেখানেই আমি থাকি না কেন আর যতদিন আমি বেঁচে
থাকবো ততদিন নামায ও যাকাত আদায়ের হুকুম দিয়েছেন৷
আর নিজের মায়ের হক আদায়কারী করেছেন,এবং আমাকে অহংকারী ও
হতভাগা করেননি৷
এ হচ্ছে মারয়ামের পুত্র ঈসা এবং এ হচ্ছে তার সম্পর্কে সত্য কথা,যে ব্যাপারে লোকেরা সন্দেহ করছে৷
কাউকে সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর
কাজ নয়৷তিনি পবিত্র সত্তা৷তিনি যখন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তখন বলেন,হয়ে যাও,অমনি তা হয়ে যায়৷
আর (ঈসা বলেছিল)আল্লাহ আমার রব এবং তোমাদেরও
রব৷কাজেই তোমরা তার বন্দেগী করো৷ এটিই সোজা পথ৷
মারিয়াম ১৬-৩৬
আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত, তিনি
বলেন,
রাসুলুল্লাহ
(স) বলেছেন-
আমি
ঈসা(আ) এর সর্বাধিক নিকটতম; নবীরা একে অপরের আল্লাতি ভাই, তাদের মাতা ভিন্ন কিন্তু
ধর্ম এক।
(বোখারী শরীফ হাদীস নং ১৯৭১)
ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত, তিনি ওমর(রা)-কে
মিম্বরে দন্ডায়মান হয়ে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে,
আমি
রাসুলুল্লাহ(স)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, সাবধান আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না;
যেমন মারইয়ামের পুত্র ঈসা (আ) সম্পর্কে নাছারারা করেছিলো; আমি শুধু আল্লাহর
বান্দা, তবে তোমরা বলবে, আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
(বোখারী শরীফ হাদীস নং ১৯৭৩)
be Organized by Holy Islam
O.H.I
For More Visit:
O.H.I
For More Visit:
Bangla reading problem visit: