السلام عليكم
দৈনন্দিন পথনির্দেশিকা
দায়িত্ববোধের অনন্য দৃষ্টান্ত
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রা.) জনগণের অবস্থা সচক্ষে দেখার জন্য রাতে সফরে বের হতেন। এমনি একদিন তিনি ইবনে আব্বাস (রা.)- কে সংগে নিয়ে মদীনা থেকে দুরবর্তী পল্লী এলাকা পরিদর্শনে গেলেন।
তারা একটি মহল্লার ভিতর দিয়ে অতিক্রমের সময় দেখতে পেলেন পার্শ্ববর্তী জীর্ণ কুটিরে এক বৃদ্ধা মহিলা উনুনে পানি ভর্তি হাড়ি বসিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছেন আর তার পাশে বসে শিশুরা ক্ষুধার জ্বালায় ক্রন্দন করছে। মহিলা কিছুক্ষণ থেমে থেমে শিশুদের প্রবোধ দিচ্ছেন "তোমরা আরেকটু সবর কর, এক্ষুনি খাবার তৈরী হয়ে যাবে।"
কিন্তু শেষ পর্যন্ত খাবার আর তৈরী হল না। অনেকক্ষণ ধরে কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে বাচ্চা গুলো ঘুমিয়ে গেল। মহিলাটিও একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন- যাক আজকের মত অন্তঃত বাচা গেল।
এই মর্মান্তিক অবস্থা দেখে খলিফা উমর (রা.) ও তার সহচর মহিলাটির মুখোমুখি হলেন। তাদের প্রশ্নের জবাবে মহিলাটি বললেন- তার পরিবারে উপার্জনক্ষম কোন পুরুষ নেই, তিনি নিজেও উপার্জন করে শিশুদের খাদ্য যোগাড় করতে পারছেন না। তাই কয়েকদিন যাবত তিনি উনুনে শুধু পানিভর্তি পাত্র বসিয়ে ক্ষুধার্ত শিশুদের এভাবে প্রবোধ দিচ্ছেন।
তারা প্রশ্ন করে আরো জানতে পারলেন যে, রাষ্ট্রের বায়তুল মাল থেকে তার কাছে কোন খাদ্য সাহায্য পৌছে নাই। এই মর্মভেদী কাহিনী শুনে খলিফা ও তার সহচর দ্রুত মদীনা পৌছে বায়তুল মালের গুদামের দরজা খুললেন।
তারপর খলিফা নিজেই এক বস্তা ময়দা ও এক বস্তা চিনি কাঁধে নিয়ে দরিদ্র মহিলাটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। এই সময় ইবনে আব্বাস (রা.) একটি বস্তা তার কাঁধে তুলে দেবার জন্য অনুরোধ করলেন। খলিফা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তা প্রত্যাখান করে বললেনঃ
"ইবনে আব্বাস! আজ তুমি আমার বোঝা হালকা করবার জন্য এগিয়ে আসছ; কিন্তু কেয়ামতের দিন যখন দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতায় আমাকে অভিযুক্ত করা হবে তখন তো তুমি আমার পাপের বোঝা হালকা করতে এগিয়ে আসবে না।"
দ্বিতীয় খলিফার দায়িত্ববোধ কত প্রখর ছিল এ ঘটনা তার প্রমাণ।
(খেলাফতে রাশেদা-মাওলানা আবদূর রহীমপৃষ্ঠা নং ১২৩-১২৪ টীকা নং-১)
For details in english click here
Bangla reading problem: If you can't see the writing go to your browser view option and select encoding Unicode (UTF-8) Then if you can't see bangle correctly you just download the vrinda.ttf from this below link |